শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

দলগুলোর সংযত আচরণ প্রয়োজন

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
দলগুলোর সংযত আচরণ প্রয়োজন

ক্ষমতার উদগ্র আকাক্সক্ষার পরিণতি আমাদের একেবারে চোখের সামনে। ভুলে যাওয়ার মতো সময় এখনো অতিবাহিত হয়নি। যারা নিজেদের রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক কর্মী, এমনকি রাজনীতিসচেতন বলে দাবি করেন, তারাও যদি এরই মধ্যে মাত্র সাড়ে ৯ মাস আগে দেশে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে, সে ঘটনাগুলো বিস্মৃত হয়ে থাকেন, তাহলে বলতেই হয়, জাতির ভাগ্যে আরও দুঃখ-দুর্দশা অপেক্ষা করছে। দেশের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা এই ভূখণ্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে চরম, জঘন্যতম ঘৃণিত এক নিপীড়ক শাসকের হাতে অসংখ্য জীবনহানি ও চিরতরে পঙ্গুত্ববরণের বিনিময়ে জনগণের অর্জিত অভূতপূর্ব মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রধান ও দায়িত্বশীল দল হিসেবে ভাবমূর্তিসম্পন্ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যে ধরনের আচরণ শুরু করে তা তাদের মর্যাদার সঙ্গে মানানসই নয়। দলটির নেতাদের কাছ থেকে জনগণ আরও সংযম ও মিতাচার আশা করলেও তারা তাদের দায়িত্বহীন আচার-আচরণের মাধ্যমে দেশবাসীকে হতাশ করছেন। তারা যেন ভুলেই গেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন উৎখাত করতে তাদের ভূমিকা প্রায় ছিলই না। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে তারা নিরুৎসাহিত করেছেন এবং এ আন্দোলনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন। তবে আন্দোলন সফল হওয়ার পর তারা এর কৃতিত্ব দাবি করতে দ্বিধা করেননি।

বিএনপির মতো এত বড় একটি দল, যারা দীর্ঘ সময় দেশের ক্ষমতায় ছিল এবং দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞ, তারা শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। আন্দোলন তো দূরের কথা, বলা চলে তারা শেখ হাসিনার মতো একচ্ছত্র স্বৈরশাসকের গায়ে আঁচ লাগতে পারে, এমন কিছুই করতে পারেনি।

শেখ হাসিনার ক্ষমতার গণেশ উল্টে যাওয়ার পর ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করার আগে বিএনপির যখন উচিত ছিল সাড়ে ১৫ বছর পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যর্থতার কারণ মূল্যায়ন করে দল পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়া, তখন তারা চটজলদি ক্ষমতা দখলের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বালসুলভ চপলতায় চাপ সৃষ্টি করছে। শুধুই কী চাপ সৃষ্টি? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপকে এই বলে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো এখতিয়ার নেই। কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল সরকারই এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারে; ইত্যাদি। বিএনপিও যেহেতু অতীতে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করেছে, অতএব আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপির পেশি স্ফীত করার লোকের অভাব ছিল না, এখনো নেই। তারা অন্ধকার থেকে আলোতে বেরিয়েই আওয়ামী লীগের অবৈধ অর্থ কামানোর ফেলে যাওয়া সব উৎস- হাটবাজার, বন্দর-টার্মিনালসহ, ঘাট-বালুমহাল ইত্যাদি জোরজবরদস্তি করে চাঁদা আদায়ের যতগুলো ক্ষেত্র আছে, সেগুলো দখল করে ঢালাওভাবে চাঁদা আদায় করছে। যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান এত দিন আওয়ামী লীগের প্রভাবের আওতায় ছিল অথবা আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিয়ে তাদের আশীর্বাদ গ্রহণ করত, সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আগ বাড়িয়ে বিএনপির লোকজনকে তোয়াজ করছে। বিএনপির নেতা ও ক্যাডাররা যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে অন্যের জমি, ব্যবসা ও ঘের দখল করছে। যেহেতু বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই, অতএব তারা মাঠ ফাঁকা থাকলে অবৈধ সুযোগসুবিধার ভোগদখলে অভিন্ন আচরণ করে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শিক্ষা থেকে বিএনপি আদৌ কোনো শিক্ষা নেয়নি।

ক্ষমতার উদগ্র আকাক্সক্ষার পরিণতি আমাদের একেবারে চোখের সামনেশেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সামান্য কিছুসংখ্যক নেতা ও লুটেরা গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য অধিকাংশই দেশত্যাগসহ আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় বিএনপি সম্ভবত আওয়ামী লীগের ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাশূন্য একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। তাদের ধারণা এবং ভয় হলো, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ২০২৬ সালে জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কথা বলছে, ওই সময়ের মধ্যে দেশে ভিন্ন ধরনের যে রাজনৈতিক মেরুকরণ হতে পারে, তাতে বিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে।

কী আছে এই ক্ষমতায়? বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর কোন নেতা অথবা কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গিয়ে দেশ বা জনগণের জন্য কী করেছে? তারা কী দেশে তাদের প্রতিশ্রুত গণতন্ত্র এনেছে? তারা কী বিচার বিভাগকে স্বাধীন নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করেছে? দেশে কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? না, কোনো কিছুই হয়নি! দেশের সবকিছু স্বাধীনতাপূর্ব পাকিস্তান আমলের গণতন্ত্রহীন অবস্থায় আছে। রাজনৈতিক বিশ্বাস ও দল-মতনির্বিশেষে দেশে কেউ কি শেখ মুজিবুর রহমানের তুলনায় অন্য কাউকে বড় নেতা মনে করে? তা না করা সত্ত্বেও শেখ মুজিবের ব্যর্থতা এবং তার কথা ও কাজের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য ছিল না বলে, তার কড়া সমালোচনা করতে কেউ তাকে ছাড় দেয় না। তিনি বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা বলে বলেই নেতা হয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সব নিষিদ্ধ করে তার পছন্দের সংসদীয় ব্যবস্থার কবর রচনা করে একদলীয় রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে মুখে ফেনা তুলতেন, কিন্তু চারটি সংবাদপত্র রেখে সব সংবাদপত্রের প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেন। তিনি তার নিজস্ব ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে প্রমাণ করেছেন, তিনি যা বলতেন তা তিনি তার বিশ্বাস থেকে বলতেন না। তিনি মনভোলানো কথা বলে হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো জনগণকে প্রলুব্ধ করতেন তার পেছন পেছন গিয়ে অজ্ঞাত গহ্বরের অন্ধকারে আটকা পড়ে, যে অন্ধকার থেকে জনগণ আজও মুক্তি পায়নি।

ভারত বিভক্তির মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাপূর্ব পাকিস্তানের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কোনো অবদান রাখতে পারেনি। রাজনৈতিক স্বাধীনতা তো ছিলই না। ছিটেফোঁটা উন্নয়ন যে হয়নি, তা নয়। নতুন কিছু শিল্প-কারখানা আর কিছু দালানাকোঠা নির্মিত হয়েছিল। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছিল। এই তো। কিন্তু সেই স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসন ও শোষণে অতীষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে শাসকগোষ্ঠী, সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ জমে উঠতে শুরু করেছিল, তার ইতিবাচক দিক ছিল পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার চেতনা জাগ্রত হওয়া, যা পূর্ব বাংলা অখণ্ড ভারতের অংশ হিসেবে থাকলে কখনো সম্ভব হতো কি না, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এই চেতনায় জাতি উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলে সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভে সফল হয়েছে।

১৯৭৪ সালে ভারতের খ্যাতিমান সাংবাদিক খুশবন্ত সিং শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তিনি শেখ মুজিব সম্পর্কে তার অন ওয়ার অ্যান্ড পিস ইন ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড বাংলাদেশ নামের গ্রন্থে মন্তব্য করেন, শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে তার দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে কথা বলেন। তার আশাবাদ সংক্রামক। একই গ্রন্থের অন্যত্র তিনি লিখেছেন, প্রশাসনের প্রতিটি বিভাগের কাজে তিনি হস্তক্ষেপ করেন।

তিনি ক্ষমতা অর্পণে অস্বীকৃতি জানান এবং এর চেয়েও গুরুতর বিষয় হচ্ছে, রাজনৈতিক সমর্থকদের সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি যখন-তখন সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে অপসারণ করার কারণ জানতে চাইলে শেখ মুজিব যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, সে সম্পর্কে খুশবন্ত সিং বর্ণনা করেছেন, তিনি রাগে জ্বলে ওঠেন এবং টেবিল চাপড়ে উত্তর দেন, গণতন্ত্রে মন্ত্রী নিয়োগ ও বরখাস্ত করা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এখতিয়ার। তিন বছরে আমি নয়জন বা দশজন মন্ত্রী পরিবর্তন করেছি। আপনার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন?’”

শেখ মুজিবুর রহমান তার দেবত্ব বজায় রাখতে দলে কোনো উত্তরাধিকারী সৃষ্টি করা পছন্দ করেননি। তাজউদ্দীন আহমদ সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হতে পারতেন। সে কারণেই হয়তো তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপসারণ করা হয়েছিল। শেখ মুজিবের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার দল বেছে নিয়েছিল তার প্রবাসী কন্যা শেখ হাসিনাকে। সন্দেহ নেই আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করে ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দলকে দেশের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করায় তার ভূমিকা অসামান্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হোক, অথবা পিতার জিনের প্রভাবেই হোক, শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ক্ষেত্রে পিতা শেখ মুজিবের পদাঙ্কই অনুসরণ করেছেন। তবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সন্তুষ্ট করতে শেখ হাসিনা তার পিতার মতো যখন-তখন সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলতেন না। তবে তিনি তার পিতার আমিত্বর উত্তরাধিকার পুরোপুরি নিজের মাঝে স্থাপন করেছিলেন। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অর্থহীনভাবে খড়গহস্ত না হয়ে এবং জীবনভর ক্ষমতায় থাকার উগ্র মানসিকতা পরিহার করে দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিলে কাগজকলমে উন্নয়ন খাতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে, তা প্রকৃতই সঠিকভাবে ব্যয় হলে দেশ আরও সমৃদ্ধ হতে পারত।

কিছু উঁচু অট্টালিকা, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল ইত্যাদি অবশ্যই উন্নয়ন, কিন্তু এগুলো প্রয়োজনের পাশাপাশি নান্দনিক উন্নয়ন। সময়ের সঙ্গে এসব আসবেই। আমি মোবাইল দিয়েছি, আমি টেলিভিশন দিয়েছি, আমি ইন্টারনেট দিয়েছি, এসব কথামালা কোনো সভ্য, ভদ্র ও সুশাসকের দাবি হতে পারে না। সময়ের প্রয়োজনে বিশ্বের এমনকি অতিদরিদ্র দেশও এখন এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু ওই সব দেশের শাসকরা এমন হাস্যকর বালখিল্য আচরণ করেন কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। শুধু তা-ই নয়, অমুক না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসত না, পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতে হতো, এসব দাবির মধ্যেই বা কতটা যথার্থতা আছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের ইতিহাস পাঠে এটা সুস্পষ্ট যে ওই সব দেশের দুঃসময়ে জনগণকে সঠিক পথ দেখানোর অনিবার্য প্রয়োজনে জনগণের ভিতর থেকেই কেউ না কেউ বেরিয়ে আসে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে। এমন নেতার আবির্ভাব ঘটে সময়ের সন্তান হিসেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের প্রায় ৭০টি ছোটবড় দেশ স্বাধীন হয়েছে, যার বেশির ভাগ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে। ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো তাদের সাবেক উপনিবেশগুলোর জনগণের মাথায় হাত বুলিয়ে অথবা জননেতাদের চুম্বন করে স্বাধীনতা দিয়ে যায়নি। প্রায় প্রতিটি দেশকে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়েছে অথবা বিদেশি শক্তির শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন করতে হয়েছে। দেশগুলোর জনগণ অত্যাচার ও সব ধরনের দলনপীড়নের মধ্যেও এবং জানমালের বিপুল ত্যাগ স্বীকার করার পরও যখন তাদের অবস্থানে অটল থেকেছে, ঔপনিবেশিক শক্তিকে তখন পাততাড়ি গুটিয়ে পালাতে হয়েছে।

শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা পৃথক দুটি সময়ে দেশের শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের ওপর তাদের দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়ে ভিন্ন দুটি প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ধরনের ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছেন। শেখ হাসিনা শতব্যস্ততা সত্ত্বেও রাতের ঘুম হারাম করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় এবং ভোরে ফজর আদায় করার পর পবিত্র কোরআন শরিফ তিলাওয়াত এবং তাসবিহ-তাহলিল করা সত্ত্বেও কোরআনের বাণীর মর্ম উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শাসকদের ক্ষমতা দান ও ক্ষমতাচ্যুত করা সম্পর্কে কোরআনের সুরা আল-ইমরানে বলা হয়েছে : হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর, এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত কর। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। তিনি নিশ্চয়ই এটা পাঠ করেছেন, কিন্তু ক্ষমতার জাঁকজমক ও ব্যক্তিগত দম্ভে আল্লাহর বাণীকে বিশ্বাস করেননি। ফলে তার ললাটের লিখন যা ছিল, তাই ঘটেছে।

তার বিদায়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং অন্যান্য দল আবারও একটি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বাড়াবাড়ি শুরু করেছে, তা কোনো শুভ ইঙ্গিতবহ নয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাদের প্রধান তিন প্রতিশ্রুতি : (এক) কাক্সিক্ষত সংস্কার সাধন, (দুই) বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হত্যা, গুম, অপহরণ, লুণ্ঠনসহ যেসব অপরাধ করেছে, তার বিচার সম্পন্ন করা এবং (তিন) জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতাকে যেভাবে মর্যাদাপূর্ণ বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে কাজে লাগাচ্ছে, সেগুলোকে অবমূল্যায়ন ও হালকাভাবে গ্রহণ করা হলে দেশকে কার্যত আরেকবার একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। এমন একটি পরিস্থিতির জন্যই আওয়ামী লীগ ওত পেতে আছে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য। রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপি যত শিগগির তা অনুধাবন করে দলের ইতোমধ্যে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়া নেতা-কর্মীর লাগাম টেনে ধরতে পারবে, দেশ-জাতির জন্য তা ততটাই কল্যাণকর হবে।

 

    লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে...
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে...
অনন্য সুন্দরবন
অনন্য সুন্দরবন
ব্যবসায়ীদের হয়রানি
ব্যবসায়ীদের হয়রানি
হজযাত্রী আল্লাহর প্রতিনিধি
হজযাত্রী আল্লাহর প্রতিনিধি
হুইলচেয়ারের প্রেসিডেন্ট
হুইলচেয়ারের প্রেসিডেন্ট
ডেঙ্গুর আগ্রাসন
ডেঙ্গুর আগ্রাসন
সংকটে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা
সংকটে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা
বই পড়া কি ভুলে যাচ্ছি
বই পড়া কি ভুলে যাচ্ছি
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
হজে যেতে না পারায় মন খারাপ নয়
হজে যেতে না পারায় মন খারাপ নয়
কৃষি উদ্যোগে বেকারত্বের সমাধান
কৃষি উদ্যোগে বেকারত্বের সমাধান
ধর্মরাজ্যের ভাবনা ও আজকের পৃথিবী
ধর্মরাজ্যের ভাবনা ও আজকের পৃথিবী
সর্বশেষ খবর
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পাত্তা দিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পাত্তা দিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক

১৭ মিনিট আগে | বাণিজ্য

কিছু বিপদ কল্যাণ বয়ে আনে
কিছু বিপদ কল্যাণ বয়ে আনে

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আল্লাহর ভয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চেয়েছেন যিনি
আল্লাহর ভয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চেয়েছেন যিনি

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যারা আল্লাহর বন্ধু ও শয়তানের শত্রু
যারা আল্লাহর বন্ধু ও শয়তানের শত্রু

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হজে মুসল্লিদের স্বস্তির জন্য সৌদির অনন্য উদ্যোগ
হজে মুসল্লিদের স্বস্তির জন্য সৌদির অনন্য উদ্যোগ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ফের করোনার হানা; কেরালা, দিল্লি ও মুম্বাইতে সতর্কতা জারি
ভারতে ফের করোনার হানা; কেরালা, দিল্লি ও মুম্বাইতে সতর্কতা জারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী চিকিৎসকের ৯ শিশুসন্তান নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী চিকিৎসকের ৯ শিশুসন্তান নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলায় নিহত ১৩, আহত অর্ধশতাধিক
ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলায় নিহত ১৩, আহত অর্ধশতাধিক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্সেলোনাকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা আর্সেনালের মেয়েরা
বার্সেলোনাকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা আর্সেনালের মেয়েরা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রধান উপদেষ্টার অধীনেই নির্বাচন চায় তিন দল: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার অধীনেই নির্বাচন চায় তিন দল: প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনচেলত্তি-মদ্রিচের বিদায়ের ম্যাচে এমবাপ্পের জোড়া গোল
আনচেলত্তি-মদ্রিচের বিদায়ের ম্যাচে এমবাপ্পের জোড়া গোল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি হামজার স্বপ্নভঙ্গ, প্রিমিয়ার লিগে ফিরল না শেফিল্ড
বাংলাদেশি হামজার স্বপ্নভঙ্গ, প্রিমিয়ার লিগে ফিরল না শেফিল্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মিনারে হাসানের জানাজায় ছাত্রনেতারা
শহীদ মিনারে হাসানের জানাজায় ছাত্রনেতারা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আলী’র বিশ্বজয়, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পেল কানে বিশেষ স্বীকৃতি
‘আলী’র বিশ্বজয়, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পেল কানে বিশেষ স্বীকৃতি

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কানে 'স্বর্ণপাম' জিতলেন নিষিদ্ধ ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি
কানে 'স্বর্ণপাম' জিতলেন নিষিদ্ধ ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজের দারুণ বোলিং, জয় দিয়ে আইপিএল শেষ করল দিল্লি
মুস্তাফিজের দারুণ বোলিং, জয় দিয়ে আইপিএল শেষ করল দিল্লি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলোচিত আওয়ামী লীগ নেত্রী তুশি আটক
আলোচিত আওয়ামী লীগ নেত্রী তুশি আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেডিকেল ছাত্রের আত্মহনন, সুইসাইড নোটে ‘বিশ্রাম চাই’
মেডিকেল ছাত্রের আত্মহনন, সুইসাইড নোটে ‘বিশ্রাম চাই’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রির সাইটে সাইবার হামলা
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রির সাইটে সাইবার হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমরা ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি : নাহিদ ইসলাম
আমরা ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি : নাহিদ ইসলাম

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

'আওয়ামী লীগের কাউকে বিএনপির সদস্য ফরম দিলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা'
'আওয়ামী লীগের কাউকে বিএনপির সদস্য ফরম দিলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা'

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পয়ঃবর্জ্য খালে ফেললে লাল রঙে চিহ্নিত হবে বাড়ি
পয়ঃবর্জ্য খালে ফেললে লাল রঙে চিহ্নিত হবে বাড়ি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লুট হওয়া সিন্দুক মিললেও মেলেনি কোটি টাকার স্বর্ণালংকার
লুট হওয়া সিন্দুক মিললেও মেলেনি কোটি টাকার স্বর্ণালংকার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ঢাকায় গ্রেফতার
চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ঢাকায় গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশকে নিয়ে নতুন খেলা ও ত্রি-মুখী চক্রান্ত চলছে : আবুল খায়ের ভূঁইয়া
দেশকে নিয়ে নতুন খেলা ও ত্রি-মুখী চক্রান্ত চলছে : আবুল খায়ের ভূঁইয়া

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে মূল্য পরিশোধে বাধ্য হবে শিল্পকারখানা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা
ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে মূল্য পরিশোধে বাধ্য হবে শিল্পকারখানা : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঈদে ৫ দিন সব পত্রিকা বন্ধ চায় হকার্স কল্যাণ সমিতি
ঈদে ৫ দিন সব পত্রিকা বন্ধ চায় হকার্স কল্যাণ সমিতি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বন্দর বিদেশিদের হাতে দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’
‘বন্দর বিদেশিদের হাতে দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুড়িয়ে পাওয়া ৮ দিনের সেই শিশুর বাবা-মায়ের পরিচয় মিলেছে
কুড়িয়ে পাওয়া ৮ দিনের সেই শিশুর বাবা-মায়ের পরিচয় মিলেছে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি রবি, সম্পাদক জুয়েল
বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি রবি, সম্পাদক জুয়েল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সারজিস আলমকে আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ
সারজিস আলমকে আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারা গেছেন মুকুল দেব, বলিউডে শোকের ছায়া
মারা গেছেন মুকুল দেব, বলিউডে শোকের ছায়া

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না, আমরা যাচ্ছি না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না, আমরা যাচ্ছি না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার রোডম্যাপ চাইল বিএনপি
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার রোডম্যাপ চাইল বিএনপি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঈদে আসছে নতুন টাকা, থাকছে না কোনও ব্যক্তির ছবি: গভর্নর
ঈদে আসছে নতুন টাকা, থাকছে না কোনও ব্যক্তির ছবি: গভর্নর

১৭ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

কটূক্তি করায় ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে সমন জারি
কটূক্তি করায় ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে সমন জারি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১১ হাজার ৮৫১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
১১ হাজার ৮৫১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় জামায়াত
নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
বিএনপি-জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে তৈরি আইফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতে তৈরি আইফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন চান রাজনৈতিক নেতারা
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন চান রাজনৈতিক নেতারা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ধ্যায় যমুনায় যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
সন্ধ্যায় যমুনায় যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধি দল

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন আজ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন আজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া ও চীন!
চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া ও চীন!

২১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

মুস্তাফিজের দারুণ বোলিং, জয় দিয়ে আইপিএল শেষ করল দিল্লি
মুস্তাফিজের দারুণ বোলিং, জয় দিয়ে আইপিএল শেষ করল দিল্লি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনসহ তিন ইস্যুতে রোডম্যাপের আহ্বান এনসিপির
নির্বাচনসহ তিন ইস্যুতে রোডম্যাপের আহ্বান এনসিপির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লাল গালিচায় নজর কাড়লেন আলিয়া ভাট
লাল গালিচায় নজর কাড়লেন আলিয়া ভাট

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ
দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শরীরে ‘ভিটামিন ডি’ যোগ করার পন্থা
শরীরে ‘ভিটামিন ডি’ যোগ করার পন্থা

১৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে স্থায়ী না হওয়ায় ক্ষোভে ঘটককে হত্যা!
বিয়ে স্থায়ী না হওয়ায় ক্ষোভে ঘটককে হত্যা!

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

২৫ মে ঢাকায় সমাবেশের ডাক জুলাই ঐক্যের
২৫ মে ঢাকায় সমাবেশের ডাক জুলাই ঐক্যের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু, একতরফা সিদ্ধান্তের অধিকার নেই ভারতের: পাকিস্তান সেনাবাহিনী
কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু, একতরফা সিদ্ধান্তের অধিকার নেই ভারতের: পাকিস্তান সেনাবাহিনী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিশাদের ঝলকে পিএসএলের ফাইনালে লাহোর
রিশাদের ঝলকে পিএসএলের ফাইনালে লাহোর

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনেক সভা শেষে উপদেষ্টাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
একনেক সভা শেষে উপদেষ্টাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক শক্তি বাড়াতে নির্বাহী আদেশ সই ট্রাম্পের
পারমাণবিক শক্তি বাড়াতে নির্বাহী আদেশ সই ট্রাম্পের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে‌ বিএনপির প্রতিনিধি দল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে‌ বিএনপির প্রতিনিধি দল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনার হলফনামায় তথ্য গোপন : ইসির আইন শাখার মতামতের পর ব্যবস্থা
হাসিনার হলফনামায় তথ্য গোপন : ইসির আইন শাখার মতামতের পর ব্যবস্থা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানে ‘বাঙালি বিলাস’, প্রকাশের ঘণ্টা পেরোতেই সরানো হলো ট্রেলার
কানে ‘বাঙালি বিলাস’, প্রকাশের ঘণ্টা পেরোতেই সরানো হলো ট্রেলার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‌‘সততা ও সুশাসনের এমন দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই যা অনুকরণীয় হবে’
‌‘সততা ও সুশাসনের এমন দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই যা অনুকরণীয় হবে’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার এগিয়ে নিতে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান উপদেষ্টা পরিষদের
নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার এগিয়ে নিতে বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান উপদেষ্টা পরিষদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাড়তি নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর
বাড়তি নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. মইনুলের তিন বাড়ি অস্ট্রেলিয়ায়
ড. মইনুলের তিন বাড়ি অস্ট্রেলিয়ায়

পেছনের পৃষ্ঠা

নানান দুশ্চিন্তা উদ্বেগ প্রশাসনে
নানান দুশ্চিন্তা উদ্বেগ প্রশাসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজার খুঁজছে বাংলাদেশ
বাজার খুঁজছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পদত্যাগ করছেন না ড. ইউনূস
পদত্যাগ করছেন না ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

সামাজিক অবক্ষয়ে বাড়ছে অপরাধ
সামাজিক অবক্ষয়ে বাড়ছে অপরাধ

নগর জীবন

আইনি মতামতের পর শেখ হাসিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত
আইনি মতামতের পর শেখ হাসিনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

চার উপদেষ্টাকে বাদ ও ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি
চার উপদেষ্টাকে বাদ ও ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

আনিসুলের সহযোগী তৌফিকার ৩৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
আনিসুলের সহযোগী তৌফিকার ৩৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপি জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে
এনসিপি জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধানের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধানের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের ইতালি চ্যাম্পিয়ন ম্যারাডোনার নেপোলি
ফের ইতালি চ্যাম্পিয়ন ম্যারাডোনার নেপোলি

মাঠে ময়দানে

শেয়ারবাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা পাচার
শেয়ারবাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা পাচার

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি ঐক্য গড়ছে ইসলামি দলগুলো
নির্বাচনি ঐক্য গড়ছে ইসলামি দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে
তরুণদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে

নগর জীবন

শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি দিতে হবে
শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

তারুণ্যের সমাবেশে জনতার ঢল
তারুণ্যের সমাবেশে জনতার ঢল

পেছনের পৃষ্ঠা

সালমানের ছেলে ভাতিজার ১৪৭৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
সালমানের ছেলে ভাতিজার ১৪৭৯ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

প্রথম পৃষ্ঠা

জিততে পারেনি কিংস-আবাহনী
জিততে পারেনি কিংস-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

আমেরিকানদের দ্বৈত নাগরিকত্বে আকর্ষণ
আমেরিকানদের দ্বৈত নাগরিকত্বে আকর্ষণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য
ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য

পেছনের পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলা ফিরছে না সড়কে
শৃঙ্খলা ফিরছে না সড়কে

পেছনের পৃষ্ঠা

দখল-দূষণে সংকটে নদী
দখল-দূষণে সংকটে নদী

দেশগ্রাম

আজও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
আজও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে এলো জুলাই শহীদ হাসানের লাশ
দেশে এলো জুলাই শহীদ হাসানের লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

হুইলচেয়ারের প্রেসিডেন্ট
হুইলচেয়ারের প্রেসিডেন্ট

সম্পাদকীয়

হাসিনার সময়ের সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি
হাসিনার সময়ের সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

১৭ বছর পর বিএনপির সম্মেলন
১৭ বছর পর বিএনপির সম্মেলন

দেশগ্রাম

নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ দাবি
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

চীন সফরে বিএনপির প্রতিনিধিদল
চীন সফরে বিএনপির প্রতিনিধিদল

খবর