শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও ন্যায্য দাবিদাওয়া বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সোমবার পূজার দীর্ঘ ছুটি শেষে স্কুল-কলেজ খোলার প্রথম দিনেই শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে না পেরে ফিরে যায়।
রংপুর শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
শিক্ষকরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তারা বাড়িভাড়ার সঙ্গে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলেন। এই দাবিতে ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে এবং শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ চালায়।
রংপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন সরকার বলেন, সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়েও কর্মবিরতি চলছে। এর ফলে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার যত দ্রুত আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে, আমরা তত দ্রুত ক্লাসে ফিরব।
মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজগার আলী বলেন, একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বে শিক্ষকদের মর্যাদা দেওয়া হয়, আমরা বাংলাদেশেও সেই মর্যাদা চাই। শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমরা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছি। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি দ্রুত দাবি পূরণ না করে, তবে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল