বাংলাদেশের আধুনিক কবিতার অন্যতম শক্তিমান কণ্ঠস্বর হেলাল হাফিজের ৭৮তম জন্মদিনে নিজ জেলায়, প্রিয় বিদ্যাপিঠে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে নেত্রকোনার সাহিত্যপ্রেমী তরুণ প্রজন্ম।
প্রতিবছরের মতো এবারও নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়ায় দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের হেলাল হাফিজ চত্বরে আয়োজন করা হয় জন্মদিন উপলক্ষে স্মরণসভা ও সাহিত্য আড্ডার। আয়োজন করে হিমু পাঠক আড্ডা।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। কবিতা পাঠ, কেক কাটা, গান ও অভিব্যক্তি প্রকাশের মধ্য দিয়ে কবিকে স্মরণ করা হয় ভিন্ন এক আবহে। তবে এবারের আয়োজন ছিল অন্যরকম। কবির প্রয়াণের পর এটিই প্রথম জন্মদিন, ফলে পুরো আয়োজনে ছিল এক ধরণের আলো-আঁধারির মিশেল এবং আবেগঘন পরিবেশ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান কেক কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। হেলাল হাফিজের প্রিয় বিদ্যালয়ের রেইনট্রি তলায় আয়োজিত এই সাহিত্য আড্ডা যেন এক সময় পরিণত হয় কবিপ্রেমীদের মিলনমেলায়।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কবি-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলপনা বেগমের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, প্রফেসর ননী গোপাল সরকার, কবি এনামুল হক পলাশ, কবি তানভীর জাহান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুখময় সরকার, কবির ভাই নেহাল হাফিজ, স্থপতি রোদসী চক্রবর্তী, ক্ষুদে আবৃত্তিকার আলভিরা জিনান, উচ্ছ্বাস দাস প্রমুখ।
রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী নারায়ণ কর্মকার, সুব্রত রায় টিটু, উপমা সরকার রিয়া, শুভ বণিক, জুয়েল রানা, শিল্পী ভট্টাচার্য্য ও তানভিয়া আজিম।
আয়োজনে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কবিদের কোনো দল নেই, কোনো পক্ষ নেই। তারা সবার। হেলাল হাফিজ আধুনিক তারুণ্যের প্রতীক ছিলেন- প্রেম, দ্রোহ আর বেদনার কবি। রাষ্ট্র এমন এক বিরল কবিকে সময়মতো যথাযথ সম্মান দিতে পারেনি। তবে আমরা নেত্রকোনায় তার প্রিয় বিদ্যাপিঠে তার নাম ও স্মৃতিকে ধরে রাখবো।’
তিনি হেলাল হাফিজ চত্বরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ