ডিলারদের পরিবহন খরচ ও কমিশন বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর কলেজ রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি আব্দুস ছালাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচ দফা দাবিতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের মূল্য কয়েক দফা বাড়লেও সার পরিবহনের জন্য নির্ধারিত ভাড়া বাড়ানো হয়নি। একই সঙ্গে ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া, কর্মচারী ব্যয়, লোড-আনলোডসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে, কিন্তু বিক্রয় কমিশন অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব বিবেচনায় পরিবহন খরচ ও কমিশন সমন্বয়ের দাবি জানানো হয়।
একই পরিবারের একাধিক সদস্য পৃথক ব্যবসায় যুক্ত থাকলেও, তারা যদি সরকারের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হন, তবে তাদের ডিলারশিপ বাতিল না করার আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের দাবি, ইউরিয়া সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৩৫০ টাকা হলেও বাজারে তা ১২৯০-১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ডিলারদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। অন্যদিকে, নন-ইউরিয়া সারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, ফলে সুষম সারের ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ডিলাররা জানান, কৃষক পর্যায়ে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা সারের ওপর আগে কোনো উৎসে কর ছিল না, এখন তা আরোপের প্রক্রিয়া চলেছে, যা বাজারকে অস্থিতিশীল করতে পারে।
বর্তমানে বরাদ্দকৃত সার বিভিন্ন স্থান যেমন নোয়াপাড়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও নগরবাড়ী ঘাট থেকে সরবরাহ করা হয়। এতে ডিলাররা পরিবহন সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মতো সার পৌঁছাতে পারছেন না। এজন্য তারা নিজ নিজ জেলা পর্যায়ে সার মজুত ও সরবরাহের দাবি জানান।
সংগঠন থেকে জানানো হয়, বিসিআইসি ডিলাররা ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর থেকে সরকারি নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন এবং ১০০ শতাংশ ইউরিয়া সার উত্তোলন করছেন। তারা সরকারের কাছে শত কোটি টাকার বিনিয়োগে যুক্ত রয়েছেন। তাই ডিলারদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ