আরও এক মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবান। স্থানীয় সময় রবিবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ওয়াশিংটনের বন্দিমুক্তি বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহেলার আফগানিস্তান সফরের পর ওই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে ওয়াশিংটন নিশ্চিত করেছে।
আমির আমিরি নামের ওই মার্কিন নাগরিক ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আফগানিস্তানে আটক ছিলেন। কাতারের মধ্যস্থতায় তার মুক্তি ঘটে এবং রবিবার সন্ধ্যায় তিনি দোহার উদ্দেশে রওনা করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানকে বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানোর প্রায় এক সপ্তাহ পর বোহেলারকে মুক্তি দেওয়া হলো। সম্প্রতি ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আফগানিস্তানের জন্য ‘খারাপ কিছু’ ঘটবে।
চলতি বছর এটা ছিল তালেবানের হাতে আটক পঞ্চম মার্কিন নাগরিকের মুক্তি, যার কৃতিত্ব কাতারকে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আট মাস ধরে আটক থাকা এক ব্রিটিশ দম্পতিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, আমিরিকে মুক্ত করতে সাহায্য করার জন্য আমি কাতারকে ধন্যবাদ জানাই। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না অন্যায়ভাবে আটক হওয়া আমেরিকানদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, আমরা থামব না।
এদিকে এখনও আটক থাকা আহমদ হাবিবির ভাই মাহমুদ হাবিবি বলেন, প্রশাসন তাকে আশ্বাস দিয়েছে যে, তালেবানের সঙ্গে যেকোনও চুক্তি হবে এবং তার ভাইকে ফেলে রাখা হবে না। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন আমাদের জন্য কিছুই করেনি। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখি।
তালেবান সরকার দাবি করেছে, তারা হাবিবিকে আটক করেনি। হাবিবি ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক সিভিল এভিয়েশন প্রধান। যে বাগরাম ঘাঁটি ট্রাম্প ফিরিয়ে নিতে চাইছেন, সেটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ঘাঁটি ছিল।
২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান এই ঘাঁটিসহ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, ট্রাম্প যদি বাগরাম ফের দখল করতে চান, তবে এটি আফগানিস্তানে নতুন করে আক্রমণের মতো দেখাতে পারে এবং এতে ১০ হাজারের বেশি সেনা ও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ