নেপালে চলতি মাসের শুরুতে বিক্ষোভ-সহিংসতার তদন্তের অংশ হিসেবে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিসহ চার জন সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওম প্রকাশ আর্যাল।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর সংক্ষিপ্ত নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক দুর্দশা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুবকদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা মারাত্মক দমন-পীড়নের পর দ্রুত দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের সহিংসতায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়। বিক্ষোভকালে সংসদ ও সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভটি সরকারের পতন ঘটায়।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য ব্যক্তিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, জাতীয় তদন্ত বিভাগের সাবেক প্রধান হুতারাজ থাপা ও আরও দুই জন শীর্ষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
হিমালয়ের এই দেশটির নেতৃত্বদানকারী অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি সহিংসতা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছেন।
কার্কি আগামী ২০২৬ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিশন রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ করেছে। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওম প্রকাশ আর্যাল বলেন, নিষেধাজ্ঞা ‘ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।’
রবিবার এক বিবৃতিতে কমিশনের সদস্য বিগইয়ান রাজ শর্মা জানান, এই পাঁচজনকে কাঠমান্ডু উপত্যকা ত্যাগ করার জন্যও অনুমতি নিতে হবে। কারণ তাদের যেকোনো সময় তদন্তের জন্য হাজির হওয়া লাগতে পারে।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত