নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীতে স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের পাচহাট গ্রামের ধনু নদীর পাড়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাছে লায়লা (৭) ও শিরিন আক্তারের (১৮) মরদেহ ৩৬ ঘণ্টা পর ভেসে উঠলে স্থানীয়রা ও স্বজনরা উদ্ধার করেন। সর্বশেষ সামিয়ার (১১) মরদেহ ৪০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। পাঁচহাট গ্রামেই তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
এর আগে, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিখোঁজ শিশু উষামনি (৭) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নেত্রকোনা ইউনিটের সহায়তায় শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও ডুবে যাওয়া স্পিডবোটটির সন্ধান মেলেনি। এখন পর্যন্ত শুধু একটি চেয়ার উদ্ধার করা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে গাজিপুর ইউনিয়নের পাচহাট আন্ধার গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বরযাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মিরকা গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে ১২ জন নারী ও শিশু নিয়ে একটি স্পিডবোটে রওনা দিলে নদীতে অবৈধ ভিমজালে মাছ ধরার খোসা নৌকার সাথে সংঘর্ষ হয়।
এসময় খোসা নৌকায় থাকা ছাত্তার ও তার ছেলে জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্পিডবোটে উঠে বোটচালককে মারধর করেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে স্পিডবোটটি ধনু নদীতে ডুবে যায়। এতে আটজন সাঁতরে প্রাণে বাঁচলেও চারজন নিখোঁজ হন। প্রাণে বেঁচে ফেরা যাত্রী ফাতেমা জানান, অনুনয়-বিনয় সত্ত্বেও হামলাকারীরা বোট ডুবিয়ে দেন। এসময় তিনি নিজের সাত বছরের মেয়েকে হারান যার মরদেহ পরদিন উদ্ধার হয়।
নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধান্র অভিযান আপাতত সমাপ্ত। সম্ভবত বোটটি ধনু নদীর গভীরে আটকে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ