বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলা-উপজেলা, নির্বাচন অফিসসহ সব সরকারি অফিসে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নির্বাচন অফিসসহ সব সরকারি দপ্তর ঘেরাও করে প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করে। এতে অফিসগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
জেলার নয়টি উপজেলাতেও একই কর্মসূচি পালিত হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে বক্তারা আসন কমানোর গেজেট বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, দাবি না মানলে আগামীকাল সোমবার পূর্ণদিবস হরতাল এবং পরবর্তী দুইদিন (মঙ্গলবার ও বুধবার) অর্ধদিবস হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধ পালন করা হবে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করার কথাও জানান তারা।
বাগেরহাট শহরে সরকারি বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে ান্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামাতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের গেজেটে বাগেরহাটের ৪ আসনের পরিবর্তে ৩ আসন করা হয়েছে। আগে ছিল বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। নতুন গেজেটে বাগেরহাট সদর আসন বাদ দিয়ে অন্যান্য আসনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ