‘প্রায়োগিক পরীক্ষণ মাঠে বিনাধান-১৯, বিনাধান-২১ ও বিনাধান-৪৮ এর মূল্যায়ণ’ শীর্ষক এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার নরিন্দ্র এলাকায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, নতুন এই ধান জাতসমূহ ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই জাতগুলোর উৎপাদনক্ষমতা বেশি, রোগ প্রতিরোধী ও জলবায়ু সহনশীল। এই ধান চাষে খরচ কম, ফলন বেশি যা কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার অতিরিক্ত উপপরিচালক শেখ আজিজুর রহমান, বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান রনি, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম, উপসহকারী কৃসি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিনাধান-১৯ লবণাক্ততা ও খরা সহনশীল স্বল্পমেয়াদি জাত, বিনাধান-২১ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও সুস্বাদু চালযুক্ত, আর বিনাধান-৪৮ উচ্চফলনশীল, জলবায়ু সহনশীল ও উন্নতমানের খাদ্য উপযোগী ধান জাত।
মাঠে বিনাধান-১৯, ২১ ও ৪৮ এর ফলন দেখে কৃষকরা উৎসাহিত। ভবিষ্যতে এই জাতগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষে তারা আগ্রহী।
অনুষ্ঠান শেষে প্রদর্শনী প্লটে গিয়ে উপস্থিত কৃষক ও কর্মকর্তারা নতুন জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল