পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিতে ভেসে গেছে ঘের ও পুকুরের মাছ। তলিয়ে রয়েছে ফসলি জমির বীজতলা। দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের সংকট। উপজেলার লালুয়া, ধুলাসার, চম্পাপুর, ধানখালী, চাকামইয়া ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের তান্ডব সইতে না পেরে অনেক মাছধরা ট্রলার উপকূলের নিকটবর্তী ফিরে এসেছে। বিভিন্ন নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। একইসাথে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পরেছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পায়রাসহ দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরা ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে।
তীরে আসা জেলার জানান জানান, এমনিতে সাগরে ইলিশে দেখা নাই। বর্তমানে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। তাই তার মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে তীরে এসেছেন।
লালুয়া ইউনিয়নের রাজিব চৌকিদার জানান, হাসনাপাড়া গ্রামের মাঝের খেয়া স্থানের ভূমিহীন আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষগুলো বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সেখানকার ঘরগুলো অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ওখানের অনেকের উনুনে দুপুরের রান্নার হাড়ি উঠেনি।
একই এলাকার মর্জিনা বেগম বলেন, তিনি বেড়িবাধেঁর বাহিরে থাকেন। অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে তার ঘর তলিয়ে গেছে। তিনি এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছেন বলে জানান।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী সাংবাদিকদের জানান, উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এএ