মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রুপসা এলাকায় রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত। প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অপরদিকে উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দুটি বিদ্যালয় সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। একটি মাঠে উভয়ে খেলাধুলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই বিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। প্রাচীরের কারণে দুটি বিদ্যালয় পৃথক হয়ে যায়। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
এ কারণে এলাকার লোকদের মাঝে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। প্রাচীর অপসারণ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি এলাকাবাসীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, দুটি স্কুলই আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এই প্রাইমারি স্কুল থেকে পড়া শেষ করে হাই স্কুলে পড়েছি। এখন কেন ভাগ করা হবে প্রশ্ন তাদের। আমাদের ভালবাসার ঐতিহ্যকে ফাঁটল ধরাতে একটি গোষ্ঠি মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায় প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান। বিষন্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। কোমল মতি শিশুরাও প্রাচীর নির্মাণকে মেনে নিতে পারছে না।
রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ আলাউদ্দিন জানান, দুটি বিদ্যালয় পাশাপাশি অবস্থিত। একটি মাঠ উভয় স্কুল ব্যবহার করতো। দেখতেও অনেক সুন্দর লাগতো। দুই স্কুলের মধ্য দিয়ে প্রাচীন নির্মাণ করায় বিদ্যালয় তার সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দিন ইউনুস বলেন, ২০২১ সালে স্কুলের জায়গা পরিমাপের সময় এসিল্যান্ড পক্ষপাতিত্ব করেন। তিনি প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে ছিলেন। যার কারণে আজ এই অবস্থা। রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নাহার বলেন, দুই স্কুলের মধ্য দিয়ে প্রাচীর নির্মান না করতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সফিউদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।