বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় চাঞ্চল্যকর শ্বশুর-পুত্রবধূকে হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার চর জামাল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে (৪১) গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ডাকাত সর্দারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার লক্ষীমন্ডপ গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিম (৩৪) ও মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫০)।
এদিকে, মঙ্গলবার গ্রেফতার রফিকুল আদমদিঘী উপজেলার মৃত লছির আকন্দের ছেলে। আসামিদের কাছ থেকে একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুইজোড়া সিটি গোল্ডের চুড়ি, দুইটি সিটি গোল্ডের আংটি, নগদ সাতহাজার টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন ও একটি হাতঘড়ি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আসামী আব্দুল মান্নান নিহত আফতাব হোসেনের সেচ পাম্পে পানির লাইনে কাজ করতো। আফতাব হোসেন তার বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা জানতে পেরে আব্দুল মান্নানকে কাজ থেকে বাদ দেন। তখন সে আফতাব হোসেনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিমসহ অন্য ডাকাতদের সাথে পরিকল্পনা করে। গত ৯ জুলাই মধ্যরাতে বাড়ির পেছন দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে আফতাব হোসেনকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তার ঘরে কিছু না পেয়ে তার পুত্রবধূ রিভার ঘরে ঢুকে রিভার হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় ঘরে থাকা শিশু রুকাইয়া তাসনিম মালিহা (৫) অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। ডাকাতরা তাকে চোখ বন্ধ করে রাখার হুমকি দেয়। এরপর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ও নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান জানান, ডাকাত সদার আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে পূর্বে ডাকাতি, চুরি এবং জুয়াসহ সাতটির বেশি মামলা রয়েছে। এছাড়া, ডাকাত সদস্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকসহ দুটির অধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ