গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামে মোবাইল চুরি নিয়ে ঝগড়া হলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন কৃষক মন্টু আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মন্টু আকন্দ জানান, গত ১৮ জুন মোবাইল চুরির ঘটনায় ওই এলাকার মোশাররফ হোসেন বাবুর মুদির দোকানের সামনে ঝগড়া হয়। সেখানে অনেকের সাথে উপস্থিত হন বয়স্ক প্রতিবেশী আব্দুল হাই মিয়া। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুই দফায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি দেখানো হয়। তিনি দীর্ঘদিন থেকে শ্বাসকষ্ট, হার্ট, কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ ছিলেন।
গত ১১ জুলাই তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। কিন্তু আব্দুল হাই মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তার ছেলে রুবেল মিয়া বাদী হয়ে মন্টু আকন্দের ভাই মোকছেদ আকন্দ, ছেলে মুছা আকন্দ ও আরমান আকন্দ, স্ত্রী অবিরন বেগম, ভাতিজা বাবলু আকন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্টু আকন্দ আরও বলেন, মূলত সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের পরিবারের সাথে তাদের মনোমালিন্য ও ঝগড়া-বিবাদ ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে মন্টু ও মোকছেদ আকন্দের পরিবারের সদস্যদের দেখে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দিতো। এরই জের ধরে তাদের হয়রানি করতে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্টু ও মোকছেদ আকন্দের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বকুল মন্ডল, শফিকুল ইসলাম, মিঠু মিয়া, সুমন মিয়া, রাজ্জাক মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আকাশ মিয়া, আনারুল ইসলাম ও শাকিল মিয়া প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই