ফেনীতে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ০.১৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদীর পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে, যার ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। ইতোমধ্যে ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৫৯৩টি পরিবারের ৫ হাজার৭৭৬ জন মানুষ।
ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৩০–৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে নদীর বাঁধ ভেঙে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতরা চরম খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ সংকটে ভুগছেন। অনেক পরিবার শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশুসহ উঁচু জায়গায় কিংবা বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।
ফুলগাজীর আমজাদ হাট, কাজিরবাগ, মজুপুর, মুন্সিরহাট, আনন্দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পানি ঢুকে পড়ে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পরশুরামেও নদীর পাড়ে একাধিক স্থানে মাটি ধসে ঘরবাড়ি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ। শহরাঞ্চলেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। লোকজন নৌকা ছাড়া চলাচল করতে পারছে না।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫৪০ মি.লি. পরিমাণ ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং আগামী কয়েকদিনও এমন অবস্থা থাকতে পারে। এতে পাহাড়ি ঢল নামলে মুহুরী নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ১৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এবং আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য, সুপেয় পানি, ওষুধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজও চলছে সমানতালে।
অভিযোগ রয়েছে, এখনও অনেক এলাকাবাসী পর্যাপ্ত সহায়তা পাননি। ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম