কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি থেকে নাম বাদ দেয়ার অনুরোধ জানালেন সদস্য ছাদিম কাজী। বৃহস্পতিবার(৩ জুলাই) ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় ছাদিম কাজীকে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ছাদিম কাজী তার ফেসবুকে লেখেন, এতদ্বারা সকলের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমার অনুমতি ব্যতীত আমাকে এনসিপি দলের কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে, সেটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না, এটা আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য না এবং এনসিপি দলেরও সদস্য না। তাই আমার নাম এনসিপি দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে এনসিপি‘র সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট ঘোষিত ওই কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় ছাদিম কাজীকে। এ ঘটনার পর থেকে ফেসবুকে ছাদিম কাজীকে অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ছাদিম কাজীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, তিনি কখনো কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না। গোপালগঞ্জ জেলা শহরে তিনি মুদি ব্যবসা করেন। এনসিপি‘র কমিটিতে তার নাম দেখে অবাক হয়েছেন। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন।
ছাদিম কাজী আরো বলেন, এসসিপি’র গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম তার স্কুলের বড় ভাই ছিলেন। তিনি হয়তো কমিটিতে তার নামটি দিয়ে থাকতে পারেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো.আরিফুল ইসলামকে তার মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল