ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে মাছ ধরার সময় প্রতিপক্ষের বৈঠার আঘাতে নদীতে পড়ে গিয়ে শৌখিন খান (৩৮) নামে এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ শৌখিনের সন্ধ্যান পায়নি। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর সীমান্তবর্তী মধুমতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শোখিন খান মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিখোঁজের স্বজনরা মধুমতি নদীর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শোখিন খান ও হুমায়ূন শেখ নৌকায় চায়না জাল নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে মাছ ধরতে বের হয়। একই সময়ে পাশেই মাছ ধরছিল মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জব্বার মোল্লা, রবিউল মোল্লা ও একই গ্রামের নৌকা চালক সানি শেখ। ওইদিন রাত পৌনে ৩টার দিকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্ডিবিলা মাঝিপাড়াা ঘাট এলাকা দিয়ে শোখিন খান ও হুমায়ূন শেখ নৌকায় করে বাড়ী ফিরছিলেন। এ সময় অপর মৎস্যজীবী জব্বার মোল্লা ও রবিউল মোল্লা শৌখিনদের তাদের জালের উপর এলো কেন জানতে চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জব্বার মোল্লা শৌখিনের মাথায় বৈঠা দিয়ে আঘাত করলে সে নদীর পানিতে পড়ে ডুবে যায়।
উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি গনি আমিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি রাতে মাছ ধরার সময় এক মৎস্যজীবী অপর মৎস্যজীবীকে আঘাত করলে একজন পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ