নোয়াখালীর হাতিয়াতে বসতবাড়ির পুকুরে একটি কুমির দেখা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের আমজাদ মজিদ মিয়ার বাড়ির পুকুরে কুমিরটি দেখা যায়।
পুকুরের মালিক মো. মাসুদুল ইসলাম শরীফ বলেন, গত চারদিন আগে রবিবার বিকেলের দিকে আমাদের গ্রামের ফেরিওয়ালাদের বাড়ির বেলালের লাকড়ির ঘরে প্রথমে কুমিরটি দেখতে পায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় তারা কুমিরটি হত্যা করতে চেষ্টা করে। সেখান থেকে কুমিরটি তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার স্ত্রী নাহিদা আক্তার পান্না আমাদের ঘরের পেছনের পুকুরে কুমিরটি ভাসতে দেখে। তাৎক্ষণিক এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।
শরীফ ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ উদ্দিন আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিরটি পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুকুরের চারদিকে হেঁটে কুমিরটি পুকুরে দেখা যায়নি। রাতে কুমিরটি পাহারা দেওয়া হয়নি। এখন পুকুরে কুমির আছে, না চলে গেছে, আমরা বিষয়টি নিশ্চিত নই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উৎসুক জনতা এখানে ভিড় জমাচ্ছে। তবে প্রশাসনের কোনো লোক এখানে নেই। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে স্থানীয়দের ধারণা এটি মিঠা পানির কুমির হতে পারে।
হাতিয়া বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পুকুরে কুমির সাদৃশ্য বস্তু দেখা গেছে। আলো স্বল্পতার কারণে আমরা বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাটি জানানো হয়েছে। সকালে বিষয়টি পুনরায় যাচাই করে দেখব।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কেউ বলছেন কুমির আবার কেউ বলছেন কুমির সাদৃশ্য। ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই