গরু চোরাচালান এবং চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি। এছাড়াও পুশইন ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাজশাহী-১ সদর দপ্তরের প্রেস কনফারেন্সে রাজশাহী ব্যাটালিয়ান বিজিবি-১ এর সিও লে. কর্নেল. হাসিবুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির দেশীয় পশু মজুদ আছে। চোরাচালানের কারণে দেশীয় খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। একইভাবে ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে, সেজন্যও বিজিবি সীমান্তে তীক্ষ্ণ নজরদারি জারি রেখেছে।
লে. কর্নেল. হাসিবুল হক বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াত ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম
