অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে ভারতের আসামের পাঁচ নাগরিকসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর জেলা পলিশ। ওই পাঁচ জন ছাড়া বাকি আটজন অবৈধ পথে গিয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রে গিয়ে কাজ করতো। তিন দিন আগে আসামের নাগরিকদের কুড়িগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এদের কোন ঠিকানা না থাকায় পথে পথে ঘুরে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার চুনিয়ার চর এসে মানুষের কাছে খাবার চায়। মানুষজনের সন্দেহ হলে পুলিশের খবর দিলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা সবাই আসামের মুসলিম নাগরিক।
অপরদিকে মহারাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে থেকে কাজ করে। এরা মুসলিম হওয়ায় সম্প্রতি তাদের উপর নানা নির্যাতন করা হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে ভারতীয় দালাল ধরে গতকাল শনিবার ভোরের দিকে নালিতাবাড়ী সীমান্তে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ভারতীয় বিএসএফ ধরে বাংলাদেশে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। বিজিবি নালিতাবাড়ী থানায় পাঠালে পুলিশ আজ দুপুরের দিকে আদালতে হাজির করে।আদালত চার নারীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। চার নারীর মধ্যে দুজনের ছোট তিনটি শিশু রয়েছে।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন ওয়াস উদ্দিন(৫৫), সৈয়ব আলী (৪৫), খায়রুদ্দিন ((৩৫), জমিলা খাতুন (৩৫), মনোয়ারা বেওয়া (৫০)। তারা সবাই আসামের ভাষায় কথা বলে এবং ভারতীয় নাগরিক বলে জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা হলোন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের ছন্দার মোল্যার ছেলে আবুল কালাম (৩৪), মৃত মিন্টু শেখের মেয়ে আলপনা খানম (২৩),চরদীগলিয়া গ্রামের এহিয়া শেখের ছেলে ইমরান শেখ (৩৫), ইমরান শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (২৭), পুত্র লিমন শেখ (৫) ও মেয়ে সামিয়া (৫ মাস), কালিয়া উপজেলার ভোমবাগ দাউদ মোল্যার ছেলে রানা মোল্যা (২৬), রানা মোল্যার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২৩), ছেলে ইরফান মোল্লা (৫), খুলনা জেলার দীঘলিয়া উপজেলার উত্তর চান্দনী মহল গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে মোছা: লিচি (৪৮), ফজর মোল্যার ছেলে রুবেল মোল্যা (২৫)।
বিডি প্রতিদিন/এএ