আঞ্চলিক সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানের রাস্তায় ধান, খড়, ভুট্টা শুকানো হচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হলেও রোদে বোরো ধান শুকাতে আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়ক ও পকেট সড়কসহ বাড়ির উঠান কিংবা খোলা মাঠে ধুম পড়েছে। ভালো দামের আসায় ধান এই প্রখর রোদে শুকিয়ে নিচ্ছে কৃষক। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যানবাহন চালকরা। দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোতে এ চিত্র।
এখন বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক পাকা-কাঁচা রাস্তাগুলো ধান-খড়সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। এতে চাষিরা সাময়িক উপকৃত হলেও বিপাকে পড়েছে চলাচলকারীরা। ধানের খড় অতি পিচ্ছিল থাকায় সামান্য কারণেই যানবাহন পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে। এমনকি খড়ের উপর ব্রেক করলেও ব্রেকেরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ কারণে এসব সড়কে ছোট ছোট দুর্ঘটনা প্রায় ঘটছে।
রাস্তার উপরে ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়া ও খড় শুকানো পুরোদমে শুরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থা দিনাজপুরের খানসামা, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরল, বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে।
চিরিরবন্দরের রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, অন্যবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ধান শুকানো যেত না। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করে দিতে হতো। এবার প্রখর রোদে ধান, খড় সব শুকাতে পারছি। আশা করি দাম ভালো পাওয়া যাবে। এছাড়া খড় শুকানোতে গো-খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে পড়তে হবে না।
চিরিরবন্দরের বেলতলী বাজার থেকে দেবিগঞ্জ বাজার রাস্তা, বিন্যাকুড়ি বাজার থেকে ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, চিরিরবন্দর থেকে আমতলী বাজার রাস্তা, শান্তির বাজার থেকে ভায়া কতুবডাঙ্গা উচিতপুর রাস্তাসহ ছোট রাস্তাগুলোতে কৃষকরা বাধাহীনভাবে পাকা রাস্তার উপরে ধান, খড় শুকানোর কাজ করছে।
ভ্যানচালক আবুল হোসেন, অটো রিকশাচালক মতিউর রহমান, নুর আলম বলেন, রাস্তার উপরে ধান খড় শুকানোয় যাত্রী নিয়ে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। কৃষকসহ তাদের লোকজনরা ঠিকমতো সাইড দিতে চায় না। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
চিরিরবন্দর রাস্তায় ধান শুকানো কৃষক আব্দুল মতিন ও খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে ধান মাড়াইয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এ সময়টাতে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ কাজ করতে হচ্ছে। অনেকে বকাবকি করলেও কানে শুনতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই