বরিশালে পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকায় ভুট্টা ফসলে ভারী ধাতুর প্রভাব বিষয়ক সেমিনার হয়েছে। শনিবার নগরীর খামারবাড়ি কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের (এসআরডিআই) উদ্যোগে এ সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এসআরডিআই মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা।
অ্যানালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার, বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জামাল উদ্দিন এবং এসআরডিআইর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান। কী-নোট উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম।
এসআডিআইর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম, বিনার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, বারটানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারজানা ছিমি, বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাস, কলাপাড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরাফাত হোসেন, গলাচিপার উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার, কাউখালীর উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রাণী দাস, বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার উত্তম ভৌমিক, ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজওয়ান বিন হাফিজ, নিরাপদ খাদ্য অফিসার গোলাম রাব্বি, বেসকারি সংস্থা কোডেকের প্রজেক্ট কো-অডিনেটর এনায়েত হোসেন আকন, কৃষক প্রতিনিধি আবু বকর সুমন প্রমুখ। সেনিমারে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে ৫০ জন অংশগ্রণকারী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, কোনো কোনো জমির মাটিতে ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম এবং সিসার মতো ভারী ধাতু অতিমাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করছে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। তাই এ থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। এসব পদার্থ মাটিকে যেন দুষিত না করতে পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম