চুয়াডাঙ্গায় নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে (৪৭) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের মৃত সাদেক আলী গাজীর ছেলে। বিয়ের পর ২০০৮ সাল থেকে তিনি ঘরজামাই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে নিজের কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আলতাপ হোসেন। পরবর্তী ২/৩ মাসে আরো ৭/৮ বার একই ঘটনা ঘটায় সে। এ অবস্থায় ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর অন্যত্র বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে কিশোরী বধূ অসুস্থ হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। একই বছর (২০২৪ সাল) ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মোছা. তাছলিমা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত পিতা আলতাপ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এএম