নোয়াখালীর সদর উপজেলায় গতকাল বিকালে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষের অন্তত ৪০-৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জামায়াত-শিবির মাইজদীতে মিছিল করেছে।
নোয়াখালী সদর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ মহিউদ্দিন ও জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কাসেম বাজার জামে মসজিদে শনিবার ছাত্রশিবির দারসুল কোরআন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। সেখানে যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। গতকাল আসরের নামাজের পর একই মসজিদে কোরআন তালিমের কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। এ সময়ও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মসজিদের ভিতর ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালায়। পরে মসজিদে তালা মেরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের আনতে অ্যাম্বুলেন্স গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী ছালাউদ্দিন, কেরামতিয়া মাদরাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলীসহ ১৬ জন গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী অভিযোগ করে বলেন, শিবিরের নেতা-কর্মীরা মসজিদে স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। বাধা দিলে তারা উল্টো হামলা চালায়। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, যুবদলের জিয়া, রায়হান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ নেতা-কর্মী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহাবুব আলমগীর হাসপাতাল পরিদর্শন করে জানান, তাদের ১৫-২০ জন আহত হয়েছে। তিনি এর জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেন। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।