ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন কৃষক রিপন শেখ, এমন অভিযোগ উঠেছে। তিনি মারা গেলেও ঋণ থেকে পরিত্রাণ মিলছে না তার পরিবারের। এখন টাকার জন্য রিপনের পরিবারকে চাপ দিচ্ছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান, জানিয়েছেন তার স্ত্রী। ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ আতঙ্কেও ভুগছেন তারা। ঘটনাটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চন্ডিখালী গ্রামের। রিপন শ্রীপুরের চন্ডিখালী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পরিবারের সদস্য ও স্থাানীয়রা জানান, রিপন শেখ কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু পালন করতেন। দুই বছর আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘আই ফার্মা’ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন। আই ফার্মারকে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা দিয়ে আসছিলেন রিপন। সময়মতো মূল টাকা শোধ করতে না পারায় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তাকে চাপ দিতে থাকে। পাশাপাশি বাড়তে থাকে সুদের পরিমাণ। গত ২২ জুলাই দুপুরে ঋণদাতা সংস্থাার কয়েকজন রিপনের বাড়িতে আসেন। স্ত্রী সাজিনাকে দ্রুত ঋণ পরিশোধ করতে বলে তারা বাড়ির সামনে রাস্তায় অবস্থাান নেন। একপর্যায়ে অপমান-অপদস্ত করেন রিপনকে। তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসে স্ত্রীকে অপমানের কথা বলে আবার বেড়িয়ে যান। বিকালে আবার বাড়িতে ফিরে তিনি বাবা-মায়ের পায়ের কাছে বিষের বোতল ছুড়ে দেন এবং অসুস্থা হয়ে পড়েন। মাগুরার ২৫০ শয?্যা সদর হাসপাতালে ওই দিন রাত ১১টার দিকে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তার। রিপন শেখের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ঋণের জন?্য তার স্বামীকে হত?্যা করেছে আই ফার্মার লোকেরা। রিপন অপমান ও ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত?্যা করলেও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তার পরিবারকে এখনো চাপ দিচ্ছে। বাড়ি ও পরিবার রক্ষায় সরকারের সাহায?্য কামনা করেন তিনি। আই ফার্মারের টেরিটোরি কর্মকর্তা হাসিব আল রাজিকে ফোন দিলে রিসিভ করেন। কিন্তু তার কাছে রিপন শেখের নামে কোনো ঋণ আছে কি না জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।
সদর থানার এসআই মিনারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে রিপন একটি বেসরকারি সংস্থাার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। শ্রীপুরের ইউএনও রাখী ব্যানার্জী বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।