গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রস্তাবিত রংপুর ইপিজেড বাস্তবায়ন ও অবৈধ দখলদার গ্রেপ্তারের দাবিতে ইউএনও অফিসে তালা দিয়েছে জনতা। গতকালের পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে কয়েক শ ছাত্র-জনতা অংশ নেন। এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনওসহ কোনো কর্মকর্তা অফিসে ঢুকতে পারেননি। অবিলম্বে সব দাবি মেনে নিয়ে ইপিজেড নির্মাণের কাজ শুরু না করলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সরে যান আন্দোলনকারীরা। অবৈধ জমি দখলদারদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ লিফলেট বিতরণ করা হবে।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার একমাত্র কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্প কারখানা মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকল। এ চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের একটি অংশে বিগত সরকার ইপিজেড স্থাপনের প্রস্তুতি নেয়। কলে আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় একটি গ্রুপ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজনকে জমি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ধীরে ধীরে খামারের জমি দখলে নিয়েছে। সেখানে এখন প্রশাসন বা সরকারি কোনো লোকই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জমির মালিকানার কোনো দলিল বা প্রমাণপত্র না থাকলেও সাঁওতালদের ঢাল হিসেবে সামনে রেখে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে জমি ইজারা দিচ্ছে তারা। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এ কারণে এলাকাবাসী এবার আন্দোলনে নেমেছেন।