চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়ি প্রবেশের ফি বাড়ানোয় কনটেইনার পরিবহনে ব্যবহৃত ব্যক্তি মালিকানাধীন ট্রেইলার চালাচ্ছেন না মালিকরা। এতে বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার ডেলিভারি ব্যাহত হচ্ছে। ট্রেইলার মালিকরা জানান, গত বুধবার থেকে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে বিভিন্ন খাতে বর্ধিত ট্যারিফ আদায় শুরু হয়। গাড়ি প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২৩০ টাকা। এই বাড়তি অর্থ কে দেবে? গাড়ির মালিক নাকি শ্রমিক, তা নির্ধারণ না হওয়ায় ট্যারিফ কার্যকরের দিন থেকেই ট্রেইলার চালানো বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বন্দরের আশপাশে গড়ে ওঠা ২১টি ডিপোর নিজস্ব ট্রেইলার চলাচল করছে।
লরি মালিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘কোনো গন্তব্যে গেলে আমরা চালকদের বিভিন্ন খরচ হিসাব করে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিই। কিন্তু বন্দর প্রবেশ ফি বাড়ানোয় গাড়ি শ্রমিকরা এখন বলছেন তারা গেট পাস নেবেন না। বাড়তি টাকাটা কে দেবে, তার একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।’ তিনি জানান, সারা দেশের আন্তজেলা রুটে চলাচলকারী ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় ১০ হাজার ট্রেইলার রয়েছে। এ ছাড়া ডিপো মালিকদের রয়েছে আরও প্রায় ২ হাজার।
ট্রেইলার না চলায় আমদানি কনটেইনার ডেলিভারি কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘লরি বন্ধ থাকলে ডেলিভারিতে প্রভাব পড়ে। তবে কিছু লরি চলছে। তাই এখনো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়নি।’