শ্রীলঙ্কা, ভিয়েনাম এবং কম্বোডিয়ার জিডিপিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) খাতের অবদান প্রায় ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশের জিডিপিতে এসএমইদের অবদান ২৮ শতাংশ। কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (সিএমএসএমই) উন্নয়নে সমন্বিত সহায়তা প্রয়োজন। ঋণ সহায়তা না পাওয়া, সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা, অপ্রতুল অবকাঠামো, দক্ষতার স্বল্পতা পাশাপাশি কঠিন শর্তাবলির কারণে এ খাত পিছিয়ে পড়ছে। গতকাল ‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সিএমএসএমই খাতের ব্র্যান্ডিং ও বিপণন চ্যালেঞ্জ : রপ্তানির সম্ভাবনা’ বিষয়ক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভায় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ এসব কথা বলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং সিএমএসএমইদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং। ২০১৯ সালের তৈরি করা এসএমই নীতিমালা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন নতুন ব্যবসায়িক খাতগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পণ্যের মান ও মেধাস্বত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানি বাড়বে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিসিক শিল্প পার্কে শিল্প স্থাপনে হোল্ডিং ট্যাক্স অব্যাহিত দেওয়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, বৈশ্বিক বাজারে পণ্য প্রসারের জন্য দেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং তৈরির পাশাপাশি দেশের জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।