শীতের সময় নাক-গলা বন্ধ হয়ে আসা, সর্দি-কাশি আর শরীর জমে যাওয়ার মতো অস্বস্তি যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এমন সময়ে এক কাপ গরম আদা চা শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই আদা ঠান্ডাজনিত সমস্যা কমাতে পরিচিত একটি প্রাকৃতিক উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদায় থাকা ‘জিঞ্জারল’ নামক উপাদান জ্বালাপোড়া কমাতে, শ্বাসনালী উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
১. শ্বাসনালী উষ্ণ রাখে
শীতে সবচেয়ে বড় অস্বস্তি হলো হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। আদা চা শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং রক্ত চলাচল বাড়ায়। ফলে শরীর ঠান্ডা লাগা কমে, আরাম পাওয়া যায়।
২. গলা ব্যথা ও কাশি কমায়
ঠান্ডায় গলা বসে যাওয়া, ব্যথা বা কাশি খুব সাধারণ সমস্যা। আদা চায়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ গলার প্রদাহ কমায়, ব্যথা উপশম করে এবং কফ বের হতে সাহায্য করে।
৩. সর্দি-জ্বরের ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক
আদার ‘জিঞ্জারল’ নামের উপাদান শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ মোকাবিলা সহজ হয়। শীতে ঠান্ডা-জ্বর কম হওয়াতেও এই চা কার্যকর।
৪. কফ জমাট ভাঙতে দ্রুত কাজ করে
ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে থাকা বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া খুব বিরক্তিকর। আদা চা কফ পাতলা করে নাক-গলা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে শ্বাস নিতে স্বস্তি পাওয়া যায়।
৫. হজমে সহায়তা করে
শীতকালে অনেক সময় খাবার হজম হতে দেরি হয় বা পেট ভারি লাগে। আদা চা হজমশক্তি বাড়ায়, গ্যাস-অম্বল কমায় এবং পেটকে আরাম দেয়।
৬. শরীরের ক্লান্তি কমায়
শীতের সকালে ঘুম ঘুমভাব, ক্লান্তি বা আলসেমি—এগুলো প্রায়ই দেখা যায়। গরম আদা চা শরীরে উষ্ণতা এবং এনার্জি এনে ক্লান্তি দূর করে।
৭. প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে
আদা চা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগায়, যা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। শীতে যখন ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন এটি শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া