প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবিতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘উদীচী থেকে যমুনা’ শীর্ষক গানের মিছিল পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে না পেরে উদীচী নেতারা সরকারকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ওই শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার যদি সরে না আসে, সারা দেশের সংস্কৃতিকর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়। গতকাল পুলিশের বাধার মুখে গানের মিছিল নিয়ে ‘যমুনা’য় যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
যেতে না পারায় বাধ্য হয়ে সেগুনবাগিচার ব্যাটারিগলির মুখে শিল্পী-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি এবং প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশনের আয়োজন থেকে এ আলটিমেটাম দেন উদীচী নেতারা।
এর আগে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় তোপখানা রোডের উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘উদীচী থেকে যমুনা’ শীর্ষক গানের মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ের সামনে প্রথম পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এরপর পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে যমুনার দিকে যাওয়া শুরু করলে সেগুনবাগিচার ব্যাটারিগলির মুখে দ্বিতীয় দফা বাধার সম্মুখীন হয় মিছিলটি। এরপর সেখানেই শিল্পীকর্মীরা অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশন করে। সেখান থেকে উদীচী নেতারা সরকারকে সাত দিনের আলটিমেটাম ঘোষণা দেন।
এ সময় উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক, উগ্রবাদী ও নব্য ফ্যাসিস্ট শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাই তারা যা বলে তা শুনছে। অন্যদের কোনো কথা সরকার আমলে নিচ্ছে না। তিনি বলেন, সরকার বইমেলা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে। এখন প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল করেছে। এসব তৎপরতা স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে সরকার কাদের কথায় চালিত হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে উদীচীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল আলম বলেন, গণবিরোধী নীতির কারণে জুলাইয়ে স্বৈরাচারী হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছে জনতা। সেই জনতার সঙ্গে বেইমানি করলে ইউনূস সরকারও ক্ষমা পাবে না।