রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত সোমবার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে, বিশেষ অভিযানে সারা দেশে ১৫৫২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল ডিএমপি ও পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ডিবি ও সিটিটিসির অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলেন- তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম পারভেজ, মিরপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মজিবর রহমান (মেম্বার), আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, নবাব কাটরা ইউনিট যুবলীগের সহসভাপতি মো. কলিম, কদমতলী থানার সাবেক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজ্জ্বল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. রেদওয়ান খান বোরহান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আতাউল গনি কৌশিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এরশাদুর রহমান রিফাত, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন পলাশ।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশ থেকে বিশেষ অভিযানে ১৫৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭৯ এবং অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৭৩ জন। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে একটি দেশি দোনলা বন্দুক, দুটি একনলা বন্দুক, ৫টি কার্তুজ, দুটি কিরিচ, তিনটি রামদা ও দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।