চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে শহীদ প্রকৌশলী মো. ওমরের লাশ সুরতহাল এবং ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। মৃত্যুর ১০ মাস পর লাশটি কবর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আনা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক ও বোয়ালখালী থানা পুলিশ এ কাজে সহযোগিতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ ওমরের মা ও পরিবারের সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, আদালতের নির্দেশে শহীদ ওমরের লাশ উত্তোলনের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও দাফন করা হবে।
পুলিশ জানায়, ওমর বিন নুরুল আবছার (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দেশের পারিপার্শ্বিক কারণে ভিকটিমের অভিভাবকরা সুরতহাল, ময়নাতদন্ত এবং স্থানীয় পুলিশকে অবগত না করে ওমরের লাশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট উপজেলার আকুবদণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেন। ফলে ভিকটিমের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওমরের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ প্রদান করা হয়।