উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পর্যায়ে এসে ঝরে পড়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কলেজে ভর্তির পর নানা কাজ কিংবা ছোটখাট চাকরির সন্ধানে ছেলেদের চলে যাওয়া এবং মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়াকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৭৫ হাজার ২০৬ জন আর ছাত্রী ৭৭ হাজার ৬৫৩ জন। তবে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩০৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৬ হাজার ৩৭০ ও ছাত্রী ৫৭ হাজার ৯৩৫ জন। অর্থাৎ ৩৮ হাজার ৫৫৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নাম নিবন্ধন করেনি। এর মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ৮৩৬ জন ও ছাত্রী ১৯ হাজার ৭১৮। ছাত্রদের ঝরে পড়ার হার ২৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ঝরে পড়ার গড় হার ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ছিল ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডের অধীনে এবার নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৯৬০ জন। আর ছাত্রী ৬৪ হাজার ৬৫৩ জন। গত বছরের তুলনায় এবার এইচএসসির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গতবার অনিয়মিত ও নিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৭ জন। সে হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৪ হাজার ৫৪৪ জন।
বিভাগের ৮ জেলার ৭৫৫টি কলেজের পরীক্ষার্থীরা মোট ২০৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসি পাসের পর সবাই ভর্তি হয়। ভর্তির পর দরিদ্র অনেক ছেলে-মেয়ে গার্মেন্টের মতো ছোটখাট কাজের জন্য চলে যায়। পরীক্ষার আগে আগে এসে তারা নিবন্ধন করতে চায়। কিন্তু তখন আর তারা সুযোগ পায় না। মেয়েদের অনেকের আবার বিয়ে হয়ে যায়। তারা আসতে পারে না। ফলে এইচএসসিতে এ ঝরে পড়ার ঘটনা ঘটে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঝরে পড়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা নেই। তবে আমরা সাধারণত এ দুটি কারণকেই প্রধান বলে মনে করি। প্রত্যেক বছরই কিছু না কিছু ঝরে পড়ার ঘটনা ঘটে।’