বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান মারা গেছেন ২৪ মে। এক সপ্তাহ না যেতেই আলোচনা শুরু হয়েছে কে হচ্ছেন বিএমডিএর পরবর্তী চেয়ারম্যান। আলোচনায় বিভিন্নজনের নাম আসছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিভিন্নজনকে নিয়ে মাঠে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন। সচিব পদমর্যাদার চেয়ারম্যান পদটির জন্য এর আগে এমন আলোচনা হয়নি। যে সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, সেই সরকার তাদের অনুগতদের চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছে। ৫ আগস্টের আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান। এর আগে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আকরাম হোসেন। ৫ আগস্টের পর বেগম আখতার জাহানকে সরিয়ে ড. আসাদুজ্জামানকে নিয়োগ দেয় সরকার। আসাদুজ্জামান বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই।
এতদিন বিএমডিএর চেয়ারম্যান পদটি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে তেমন আলোচনা না থাকলেও এবার এই পদটি পেতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা তৎপরতা শুরু করেছেন। দলের বাইরেও কেউ কেউ তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে তারাও রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তালিকায় আছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাও।
কৃষি মন্ত্রণারয় সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান হওয়ার তালিকায় আছেন বিএনপির সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর রবিউল আলম মিলু। সাইফুল ইসলাম হিরোকও চেয়ারম্যান হওয়ার তালিকায় আছেন। দলীয় পদে না থাকলেও তিনি বিএনপির সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি বিএমডিএ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া দিনাজপুরের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা চেয়ারম্যান হতে চান।
বিএনপির সিনিয়র নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বিএমডিএর চেয়ারম্যান কে হবেন, সেটি সরকার নির্ধারণ করবে। দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ আছে বলে আমার জানা নেই। অনেকেই এখন চেয়ারম্যান হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। দেখা যাক মন্ত্রণালয় কী সিদ্ধান্ত নেয়।