গত ২৫ মে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘ড. মইনুলের তিন বাড়ি অস্ট্রেলিয়ায়’ শিরোনামে প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান। তিনি বলেছেন, সংবাদটি একপেশে; কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে অতীতে ড. মইনুল খান চোরাচালান ও কর ফাঁকি রোধে অনেক সাহসী অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। এতে প্রায় ৫২ মণ স্বর্ণ আটক হয়। মদ সিগারেটসহ অনেক পণ?্য বাজেয়াপ্ত করা হয়। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা রোলস রয়েস, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ-সহ ৭০টি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে ভোজ্যতেলের ভিতর মিশ্রণে আনীত প্রায় ১২০ কেজি কোকেন আটকের ঘটনা বহুল আলোচিত। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেছেন, এসব কাজে একটা স্বার্থান্বেষী মহলের রোষানলে পড়তে হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে ভুয়া ও বেনামে পত্র দিয়ে ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে লিখিত বিভিন্ন উড়ো চিঠির আলোকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে নির্দেশনার প্রেক্ষিতে দুদক ও অর্থ মন্ত্রণালয় যুগপৎ বিস্তারিত তদন্ত সম্পন্ন করে এগুলোর কোনো সত্যতা পায়নি। এসব অভিযোগে উল্লিখিত বিদেশে যেসব বাড়ির ছবি ও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে গুগলে অনুসন্ধান করলে ভিন্ন চিত্র ও বানোয়াট তথ্য পাওয়া যায়। এদেরই একজন আবার কোনো প্রমাণ ব্যতিরেকে এবং প্রকৃত তথ্য আড়াল করে মহামান্য হাই কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ০০.০১.০০০০.৫০১.০১. ০৯১.১৯ নম্বর স্মারকের এক চিঠিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। ড. মইনুল খানের অনুসন্ধানটি শুরুর পর ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আরেক চিঠিতে তার পরিসমাপ্তি টানে দুদক। সম্প্রতি সেই অভিযোগের ফাইলটি পুনরুর্জ্জীবিত করা হচ্ছে এবং দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হচ্ছে। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্রের সেই তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের আরেক অংশে যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোও ২০১৯ সালের দুদকের অনুসন্ধানের তথ্য।