স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের মঙ্গলবার হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তারা গতকাল হাজির হন। আর গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে গতকালই তলব করেছিল দুদক। তাদের বিরুদ্ধে তদবির, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গাজী সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। এর কারণে আমাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় হতে হয়েছে। এর যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলে যেতে রাজি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে ১১০ কোটি টাকার কাগজে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি। এটা হয় কীভাবে। কিছুদিন আগেও ২৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়টি এসেছে। যেকোনো আঙ্গিকে এর হিসাব খতিয়ে দেখা উচিত। এর সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া দরকার। অন্যদিকে ৬৪ জেলায় ডিসি নিয়োগ, এটা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাকে তো মহাশক্তিশালী হতে হবে।
এদিকে ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, গণমাধ্যমে জেনে হাজির হয়েছি। অভিযোগও গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। অভিযোগ ছিল তদবির ও অনৈতিক লেনদেন। যা অসত্য। কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ শুনে আমি মর্মাহত। আমি মূলত জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছি। ইতোমধ্যে ৪৭ জনকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আরও আহতদের পাঠানো হবে। আমি পদে থাকি বা না থাকি আহতদের চিকিৎসা নিয়ে কাজ করে যাব।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে আমি পদত্যাগ করতে চাই। আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করব। এরপর তিনিই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
গতকাল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক পিও তুহিন ফারাবিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।