জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচার, জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট আমলে ছাত্রশিবিরসহ সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের ৯ জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, সাতক্ষীরা, যশোর, বগুড়া, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত এসব মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সংঘটিত একাধিক গণহত্যার বিচার আজও দৃশ্যমান নয়। অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত পর্যন্ত হয়নি। জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক।
ফ্যাসিবাদের পতনের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ টি এম আজহারুল ইসলামের কারাবন্দিত্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিবিরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ জেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠানের তথ্য দিয়ে জানানো হয়- কুমিল্লায় ছাত্রশিবির মহানগর সভাপতি হাসান আহমেদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান। নোয়াখালীতে শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমানের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা। কক্সবাজারে জেলা সভাপতি আবদুর রহিম নুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মাদরাসা সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির। মৌলভীবাজারে শহর সভাপতি তারেক আজিজের নেতৃত্বে মিছিল দেওয়ানী মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কুসুমবাগ এলাকায় গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। সাতক্ষীরায় শহর সভাপতি আল মামুনের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকাল ৪টায় সঙ্গীতা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহীদ আসিফ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন। যশোরে শহর সভাপতি আহমেদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে মিছিল দুপুর ২টায় জজ কোর্ট মোড় থেকে শুরু হয়ে মনিহার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। বগুড়ায় শহর সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল বিকাল ৩টায় আজিজুল হক কলেজ গেট থেকে শুরু হয়ে সাতমাথা মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। নীলফামারীতে শহর সভাপতি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল বিকাল ৪টায় ট্রাফিক মোড় বড়বাজার থেকে শুরু হয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পঞ্চগড়ে জেলা সভাপতি জুলফিকার রহমানের নেতৃত্বে মিছিল বিকাল ৪টায় এমআর কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়ে শেরেবাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।