আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বনশ্রী শাখা সংলগ্ন স্থানে রামপুরা খালের বেশ কিছু অংশ মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে একটি চক্র খাল পাড়ে মাটি ফেলছেন বলে জানান স্থানীয়রা। একই সঙ্গে সি ব্লক সংলগ্ন এলাকায় খাল দখল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ময়লা রাখার কনটেইনার বসিয়েছে। এসব কনটেইনারে ময়লা রাখা হলে অধিকাংশ বর্জ্য চলে যায় খালে। আর খালপাড়ের বাসিন্দারাও ময়লা ফেলছে খালে। এতে বর্জ্য ও মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এক সময়ের নড়াই নদী খ্যাত রামপুরা খালটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রামপুরা-ডেমরা সড়কের বনশ্রী অংশে ডি ব্লক থেকে জি ব্লক পর্যন্ত সড়কের পাশে মাটির বড় বড় স্তূপ দেখা যায়। বিশেষ করে ই ব্লক অংশে খালপাড়ে বেশি মাটি ফেলা হয়েছে। এতে খাল অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া এফ ও জি ব্লকে খালপাড়েও মাটির স্তূপ দেখা যায়। একই সঙ্গে রয়েছে ময়লার স্তূপও। আশপাশের বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনাও ফেলা হয় খালে। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ দোকানের ময়লাও। বিশেষ করে ডাবের খোসা, পচা শাকসবজি ফেলানো হচ্ছে। এতে খাল অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে।
বনশ্রীর ই ব্লকের ৯ নম্বর বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, খাল অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। ট্রাকে করে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে মাটি ফেলছে। এই মাটি অনেক দিন ফেলছে। এ ছাড়া ময়লাও ফেলছে।
আরও দেখা গেছে, রামপুরা ব্রিজের পাশেই রয়েছে ঢাকা ওয়াসার একটি পাম্প ও ডিএনসিসির সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)। অন্যদিকে আফতাবনগর অংশে সীমানা দেয়াল পার হয়ে খালের মধ্যে মাটি ভরাট করে শাকসবজির খেত তৈরি করেছেন খালপাড়ের বাড়ির মালিকরা। ফলে দিনদিন নাব্য হারিয়ে খালটি পরিণত হচ্ছে সরু ড্রেনে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খালে ময়লা ও মাটি ফেলার বিষয়টি আমি অবগত আছি। এটা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে কেউ ফেলাচ্ছে। আমি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি, যারা এই কাজ করছে তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
তবে আমি ধারণা করছি কোথাও খনন কাজ চলছে সে মাটিগুলো এখানে ফেলাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলেছি।