ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যা করছে তা কোনো যুদ্ধ নয়, এটা গণহত্যা। নির্বিচারে, নৃশংস উপায়ে এবং ঠান্ডা মাথায় এ গণহত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যে গণহত্যা হচ্ছে তার একটি পক্ষ হলো পুঁজিবাদী পক্ষ। যারা ফ্যাসিবাদের রূপ ধারণ করেছে। গতকাল বিকালে জাতীয় শহীদ মিনারে ‘ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশ’ আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের অকার্যকর উপস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিবেক বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
আছে শুধু একদিকে ক্ষমতাবান শোষক, অত্যাচারী আর অন্যদিকে আছে ক্ষমতাহীন অত্যাচারিত। ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো এখন আর শুধু দেড় শ কোটি মুসলমানের দায়িত্ব না, বরং ৭০০ কোটি মানবিক হৃদয়ের দায়িত্ব।
সমাবেশে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধকে ন্যায়সঙ্গত উল্লেখ করে ৫টি দাবি তোলার জন্য জনগণকে আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশ।
দাবিগুলো হলো- ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলি নারকীয় আগ্রাসন ও গণহত্যা অনতিবিলম্বে বন্ধ করা; ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণের পরিপূর্ণ অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের উভয় অংশের মানুষের জানমাল, জীবন-জীবিকা, নিরাপত্তা, পরিপূর্ণ মানবাধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করা; আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন চুক্তি, প্রস্তাব ও শর্ত/মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা।
এ ছাড়া দাবির মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের গোপন ও পরোক্ষ সব সম্পর্ক ও লেনদেন ছেদ করার স্বচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া ও ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে বাংলাদেশকে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ও জাতিসংঘে দৃঢ় ও স্বচ্ছ ভূমিকা নেওয়া। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সারা বিশ্বে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করা।