প্রতিবছরের মতো এবারও ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে সকাল ১০টায় মহাশোভাযাত্রা উদ্বোধন হবে। এতে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা, মেয়র, সাধু-সন্ত, কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদরা অংশ নেবেন। টেরিবাজার, লালদীঘি, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, তিন পোল, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, চেরাগি পাহাড় হয়ে জেএম সেন হলে ফিরে আসবে মহাশোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার নগরীর জেএম সেন হলের জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সাধারণ সম্পাদক আর কে দাশ রুপু।
এতে জানানো হয়, শনিবার বেলা ২টায় জেএম সেন হলে যুব সম্মেলন। বিকেল তিনটায় মাতৃসম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিকেল পাঁচটায় ধর্ম সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। চারদিনের অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রচনা প্রতিযোগিতা ও বিকেল ৫টায় সনাতনী কনসার্ট, ১৭ ও ১৮ আগস্ট ষোড়শপ্রহর মহানামযজ্ঞ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিদ্যালাল শীল, চন্দন দাশ, পরেশ চৌধুরী, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ, যুগ্ম সম্পাদক রবি শংকর আচার্য, অর্থ সম্পাদক রতন আচার্য, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় কমিটির উপ অর্থ সম্পাদক সুমন ঘোষ বাদশা, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. রাজীব বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক এস প্রকাশ পাল, দীপ্তি দাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ১০টি দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত, বেদখল হওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার এবং হিন্দুদের হস্তান্তর, অন্তর্বতীকালীন সরকারের ঐক্যমত কমিশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি সংযুক্ত এবং হিন্দুদের দাবি নিয়ে আলোচনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী নেতাদের দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তিগুলো উদ্ধার এবং দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা অর্পিত সম্পত্তি মামলার নিষ্পত্তি, সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সংখ্যানুপাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং আসন সংরক্ষিত করা।
বিডি প্রতিদিন/এএ