কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পশুর হাট বসানো হয়েছে। কিছু এলাকায় হাটের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়। চান্দিনা উপজেলায় স্কুল মাঠে পশুর হাট বসায় ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগের দিনও পাঠদান করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের মাঠ ছাপিয়ে বিদ্যালয় ভবনের বারান্দায়ও গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে।
সোমবার উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে, বরুড়া উপজেলার আড্ডা উমেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজ, সরাপতি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে কুরবানির গবাদিপশু বিক্রির জন্য বেঁধে রাখার খুঁটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আড্ডা উমেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বৃষ্টির মধ্যে আমাদের স্কুল মাঠে গরু-ছাগলের হাট করার জন্য খুঁটি বসানো হচ্ছে। ইজারাদার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসে মাঠ পরিদর্শন করে গেছেন। আমরা এখন কোথায় খেলাধুলা করবো। কোরবানির বাজারের পর ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও মাঠ থেকে দুর্গন্ধ যায় না।
চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২১টি অস্থায়ী গরু বাজার ইজারা দেয়। এর মধ্যে শ্রীমন্তপুর, কাদুটি ও ধেরেরায় গরু বাজার বসে ৩টি পৃথক বিদ্যালয় মাঠে। প্রশাসন ওইসব গরুর বাজার নির্ধারিত বাজারে ইজারা দিলেও ইজারাদার তাদের সুবিধার্থে স্কুলের মাঠে খুঁটি বসিয়ে বাজার চালিয়ে যায়। উপজেলার ২৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী গরু বাজারের মধ্যে ৪টি বাজারই স্কুল মাঠে। বিদ্যালয়ে মাঠে গরুর হাট বসায় একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান, অপরদিকে বিদ্যালয়ের মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, কোনো মাঠে গরু বাজার বসানোর জন্য আমি অনুমতি দেইনি। বিষয়টি জেনে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। যারাই স্কুল মাঠে বাজার বসিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং বলেন, আমরা কোনো স্কুল-কলেজের মাঠে পশুর হাট ইজারা দেয়নি। আমি বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই