জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ‘বর্তমানে এ দেশের গবেষণা কার্যক্রম গুণগত মানসম্মত নয়, গবেষণা হতে হবে ফলপ্রসূ ও বিশ্বমানের।’
আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমফিল লিডিং টু পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত নতুন গবেষকদের ক্লাস শুরু সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গবেষকরা তাদের গবেষণা বিষয়ে উত্তরোত্তর অবদান রাখবেন। শুধু ডিগ্রির জন্য গবেষণা করে লাভ নেই। গুণগতমান নিশ্চিত করে গবেষণা করতে হবে। গবেষণার মানন্নোয়নের জন্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল লিডিং টু পিএইচডি কার্যক্রম চালু করেছে। এর অংশ হিসেবে দেশবরেণ্য গবেষক ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের গবেষণা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমফিল লিডিং টু পিএইচডি গবেষণার প্রয়োজনে যে কোন ধরণের একাডেমিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, দেশবরেণ্য গবেষক যারা ইতোমধ্যে এডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে শ্রেণী কার্যক্রমে মনোনয়ন পেয়েছেন। উক্ত শিক্ষকগণ হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক সরদার আমিনুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হোসেন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে (জুমে সংযুক্ত) অধ্যাপক ড. শাহ্ এহসান হাবিব।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন আইএলবিএস-এর পরিচালক (অতি: দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আওলাদ হোসেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমফিল টু লিডিং পিএইচডি ৪র্থ ব্যাচের ১২জন ফেলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ