অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ভোলা জেলার সদর উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার ভোলা সদরের টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বাংলা স্কুল) হলরুমে এ সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন ভোলা টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বাংলা স্কুল)-এর প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভোলা সদর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মো. শরাফত হোসেন, কালের কণ্ঠ পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি ইকরামুল আলম, আলীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মো. শাফায়াত হোসেন (সিয়াম)-এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা জেলা শাখার সহসভাপতি মীর আবিদ হোসেন রাফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি রিমন, মো. জিহাদ, দপ্তর সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাযকিয়া ইনসান, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান নুহা, কার্যনির্বাহী সদস্য মুক্তা আক্তার, মো. ইসমাইল, ফাতেমা সিমাসহ বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে এবং বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে তিন মাসব্যাপী এই সেলাই প্রশিক্ষণ চলবে এবং সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
ভোলা টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বাংলা স্কুল)-এর প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্বীপজেলা ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবে। বসুন্ধরা শুভসংঘের এ প্রশিক্ষণ শুধু নারীদের নয়, পুরো সমাজকেই এগিয়ে নেবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভোলা সদর উপজেলা শাখার সহসভাপতি মো. শরাফত হোসেন বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং তারা নিজেদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবে।
কালের কণ্ঠের ভোলা জেলা প্রতিনিধি ইকরামুল আলম বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময় সমাজ উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এই সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মো. শাফায়াত হোসেন (সিয়াম) বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ফলে অসচ্ছল নারীদের আর অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না, তারা নিজেরা উপার্জন করতে পারবেন। আমাদের গ্রামীণ নারীরা যদি এভাবে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে, তাহলে পরিবার ও সমাজ দুটোই হবে সমৃদ্ধ।
বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী মরিয়ম আক্তার আনন্দ প্রকাশ বলেন, আমরা এতদিন শুধু বাড়ির কাজে সীমাবদ্ধ ছিলাম। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা নতুন দক্ষতা শিখে আয়ের পথ তৈরি করতে পারব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মতো গ্রামের অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী লিমা আক্তার বলেন, আমরা আগে কোনোদিন ভাবিনি যে, বিনামূল্যে সেলাই শেখার সুযোগ পাব। এখন এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয়ের পথ তৈরি করতে পারব। এজন্য বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ জানাই।
স্থানীয়রা বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগে দ্বীপজেলা ভোলার গ্রামীণ নারীরা কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্তে প্রবেশ করবে। এ সময় ভোলা সদর উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন গ্রামীণ নারীরা।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল