গত সাত দিন থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি সাথে বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাত থেমে নেই চলছে তো চলছেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অতি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় গত এক সপ্তাহে বিজিবি সদস্যসহ নিহত ও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষায় রাখতে ২১ মে বুধবার রাজিবপুর সরকারি কলেজ বসুন্ধরা শুভসংঘর উদ্যোগে নানা শ্রেণীর মানুষের সচেতনতায় বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
রাজিবপুর সরকারি কলেজ বসুন্ধরা শুভসংঘর সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদের সভাপতিত্বে কালের কণ্ঠের সাংবাদিক সোহেল রানা স্বপ্নর সঞ্চালনায় গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী, রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী বলেন, বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। তাই সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিজিবি সদস্য যিনি মারা গেছেন তিনি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বজ্রপাতের সময় গাছের নিয়ে আশ্রয় নেওয়া যাবে না। ঘরে আশ্রয় নিতে হবে আর বাইরে থাকলে প্লাস্টিকের বা কাঠের ছাতা ব্যবহার করতে হবে। লোহার হাতল যুক্ত ছাতা ব্যবহার করা যাবে না। বসুন্ধরা শুভসংঘর এই সময় উপযোগী প্রোগ্রামকে সাধুবাদ জানাই।
অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক এই জাতীয় দুর্যোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি কিন্তু আমাদের এই দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচতে যে সচেতনতা দরকার তা আমাদের অনেক কম তাই সবার আগে আমাদের সচেতনতা হতে হবে। তাছাড়া তাল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বজ্রপাতে সময় তাল গাছ আমাদের রক্ষা করে তাই আমাদের বেশি বেশি তালের চারা রোপণ করতে হবে।
এসময় সরকারি কলেজ বসুন্ধরা শুভসংঘ সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, মাসুদুর রহমাম, মামুনুর রশীদ মারুফ, গুরু শাহীন, রিফাত আহমেদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন,রিপন মিয়া প্রমুখ।