অনেক দিন পর রান করলেন জিসান আলম। ডারউইনে গতকাল নেপালের বিপক্ষে খেলেন ৭৩ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস। টপ অ্যান্ড টি-২০ সিরিজে তার ইনিংসটি একেবারেই নিচ্ছিদ্র ছিল না। তিন তিনবার জীবন পান ওপেনার জিসান। ব্যক্তিগত ২৬ রানে আইরির বলে প্রথমবার, ৩৬ রানে কুশল ভুর্তেলের বলে দ্বিতীয়বার এবং ৩৯ রানে তৃতীয়বার বেঁেচ যান। তিনবার জীবন পেয়ে ৭৩ রানের ইনিংসটি খেলেন ৪৬ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। জিসানের পর বল হাতে ছন্দময় পারফরম্যান্স করেন বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান। ৪ ওভারের স্পেলে ১৮ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। দুজনের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে নুরুল হাসান সোহানের বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৩২ রানে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে। প্রথম ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ৬ উইকেট ১৮৬ রান। জবাবে ২০ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫৪ রান। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তান শাহীন্স বা পাকিস্তান ‘এ’ দলের কাছে হেরেছিল সোহান বাহিনী। পার্থ স্কর্চার্স একাডেমির বিপক্ষে আজ খেলবে ‘এ’ দল। ব্যাটিংয়ে ‘এ’ দলের দুই ওপেনার জিসান ও নাঈম শেখ ৬.৪ ওভারে ৬৩ রান যোগ করেন। নাঈম ২৫ রান করেন ১৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায়। সাইফ হাসান ১১ রান করলেও দারুণ ব্যাটিং করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফিফ ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাত্র ২৩ বলে ৮ চারে।
তার ২০৮.৭০ স্ট্রাইকরেট ব্যাটিংয়ে টাইগার ‘এ’ দল ১৮৫ রান করে। অধিনায়ক সোহান ৫, মাহিদুল ইসলাম অংকন ৭ ও তোফায়েল আহমেদ ৫ রান করেন। নেপালের রিজান ডাকাল ৩৪ রানে নেন ২ উইকেট। লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে ২১ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। ১৮৭ রানের টার্গেটে পেসার হাসান মাহমুদ ও বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুলের সাঁড়াশি আক্রমণে ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি। রাকিবুল ১৮ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট এবং হাসান মাহমুদ ৩৬ রানে নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া পেসার রিপন মণ্ডল ও তোফায়েল ১টি করে উইকেট নেন।
ফল : বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৩২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : জিসান আলম।