আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ককপিট ও কেবিন ক্রুসহ সব নারী কর্মীর মাধ্যমে শনিবার একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
লৈঙ্গিক সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা ও বৈষম্য দূরীকরণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় পতাকাবাহী এই ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থাটি।
পাঁচজন নারী কেবিন ক্রু সদস্যসহ ক্যাপ্টেন আনিতা ও ফার্স্ট অফিসার তাসনুভার নির্দেশনায় ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা বিশেষ ফ্লাইট বিজি-৩৮৮ পরিচালিত হয়েছে। নারীদের সমন্বয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি গতকাল সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে।
এবারের উদ্যোগের বিশেষ দিক ছিল- কেবল ককপিট ও কেবিন ক্রুই নয়, বরং পুরো ফ্লাইট পরিচালনার প্রতিটি ধাপে নারীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্যাসেঞ্জার চেকিং, পাসপোর্ট চেকিং, বোর্ডিং গেট, ব্যাগেজ লোডিং, ট্রিমশিট লোডিংসহ প্রতিটি কার্যক্রম নারীদের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশেষ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন- তানিয়া এবং ফার্স্ট অফিসার তাসনুভা। ফ্লাইটের কেবিন ক্রু ছিলেন ফ্লাইট পার্সার কসমিক, জুনিয়র পার্সার মরিয়ম, এফএসএস আন্নামা, এফএসএস পুষ্প এবং এফএসএস আফরিন।
ফ্লাইটের কেবিন শিডিউলিংয়ে নিযুক্ত থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনায় সার্বিকভাবে কাজ করেন ফ্লাইট সার্ভিস ম্যানেজার নিশি। তিনি জানান, এ রকম একটা বিশেষ ফ্লাইট অ্যারেঞ্জমেন্টের জন্য কাজ করা গর্বের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এ রকম একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের দক্ষতার স্বীকৃতি দিতে আমরা এ বছরও বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। এ ধরনের উদ্যোগ নারীদের আরো অনুপ্রাণিত করবে এবং কর্মক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রতিবছরই বিশেষ আয়োজন করে থাকে। এবারের নারী দিবসের বিশেষ ফ্লাইটও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।’
বোসরা ইসলাম বলেন, বিমানের ১৭৬ জন পাইলটের মধ্যে ২৪ জন নারী। যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে এই সংখ্যা বাড়ছে। সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। নারী-পুরুষের ভেদাভেদ করা যাবে না। নিজের যোগ্যতায় এগোতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা