স্টেশনের প্রবেশপথের অধিকাংশ অংশ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দখলে চলে গেছে। ফলে পথচারী হাঁটার জায়গা নেই। বিশেষ করে জিআরপি থানার গেট পর্যন্ত এলাকা নোংরা হয়ে পড়েছে। রিকশাচালক, অটোচালক এবং টার্মিনাল শ্রমিকরা যেখানে সেখানে প্রস্রাব করছেন। এতে পথচারীদের চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার সময় ফুটপাতে হাঁটতে না পেরে বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়, যা খুবই বিপজ্জনক। গাড়ির চাপের মধ্যে হাঁটতে গিয়ে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
ওই এলাকার দোকানি মাহাতাব হোসেন বলেন, ‘এখানে মানুষ প্রস্রাব করে। দুর্গন্ধে দোকানে বসে থাকা খুবই কষ্টকর। অথচ প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।’ অনেক ট্রেনযাত্রী অভিযোগ করেছেন, স্টেশনের পাবলিক টয়লেটের অপর্যাপ্ততা এবং অপরিষ্কার অবস্থার কারণে অনেকে ফুটপাতকেই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন।
রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালের আশপাশে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় অনেকে যেখানে-সেখানে প্রস্রাব করতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজশাহী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার (এসএমআর) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বারবার নিষেধ করার পরও কিছু অসচেতন মানুষ এ ধরনের কাজ করছেন। রেলওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নিতে।’
তিনি আরও বলেন, স্টেশনের বাইরের ফুটপাত সম্পন্ন সিটি করপোরেশনের আওতায়। তারা এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন ডলার বলেন, ‘এটা সত্যি দুঃখজনক, শহরের ব্যস্ততম এলাকায় এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটের পদ শূন্য আছে; তবে নতুন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর বেশির ভাগ পাবলিক টয়লেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে। তবে শহরের চাহিদার তুলনায় এগুলো এখনো অপর্যাপ্ত।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।