৫ হাজার বছরেরও বেশি সময় মানুষ নিজেদের শরীরে ট্যাটু এঁকে আসছে। নতুন এক গবেষণায় গবেষকরা লেজারের পেরুর মমিদের শরীরে প্রাচীন ট্যাটুর জটিল নকশা উন্মোচন করেছেন। এজন্য তারা আধুনিক লেজার রশ্মি ব্যবহার করেছেন।
গবেষণার সহ-লেখক এবং হংকংয়ের চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ মাইকেল পিটম্যান বলেছেন, ‘মমিদের ত্বক এবং ব্যবহৃত কালো ট্যাটুর কালি স্পষ্ট দেখা গেছে, যা প্রায় ১২৫০ খ্রিস্টাব্দের ট্যাটুর সূক্ষ্ম বিবরণ প্রকাশ করে। যদিও এটি খালি চোখে দেখা যায় না। গবেষকরা পেরুর উপকূলীয় চানকায় সংস্কৃতির প্রায় ১০০টি মমি পরীক্ষা করেছেন- এই সভ্যতা ইনকা সাম্রাজ্য এবং ইউরোপীয়দের আগমনের আগে সমৃদ্ধ হয়েছিল। সব ব্যক্তির হাতের পেছনের দিকে Knuckles, forearms বা শরীরের অন্যান্য অংশে কিছু ধরনের ট্যাটু ছিল। পিটম্যান বলেছেন, গবেষণাটি ‘ব্যতিক্রমী ট্যাটু’সহ চার ব্যক্তির ওপর গবেষণায় দেখা যায়, ত্রিকোণ এবং হীরার আকারের মতো জ্যামিতিক নকশা। তবে ঠিক কীভাবে ট্যাটু তৈরি করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। প্রাক-কলম্বিয়ান ট্যাটুর বিশেষজ্ঞ এবং টেনেসি ডিভিশন অব আর্কিওলজির প্রত্নতত্ত্ববিদ অ্যারন ডেটার-উল্ফ বলেছেন, এগুলো এমন মানের যা আজকের সত্যিই ভালো বৈদ্যুতিক ট্যাটু করার পদ্ধতির সঙ্গে তুলনা করা চলে।
অ্যারিজোনার সিয়েরা ভিস্তার ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্টিফিক অ্যাডভান্সমেন্টের সহ-লেখক টম কায়ে জার্নাল প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছেন, ত্বককে হালকাভাবে আলোকিত করে এমন লেজার ব্যবহার করে আমরা মূলত একটি আলোর বাল্বে পরিণত করি। ডেটার-উল্ফ বলেছেন, মমিদের মতো সংবেদনশীল প্রত্নতাত্ত্বিক উপকরণ অধ্যয়ন ও নথিভুক্ত করতে সাহায্যকারী প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ফলাফলগুলো সহায়ক ছিল। প্রাচীনতম পরিচিত ট্যাটু ইতালীয় আল্পসে প্রায় ৩,০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে বসবাসকারী একটি নব্যপ্রস্তরযুগীয় মানুষের দেহাবশেষে পাওয়া গেছে। প্রাচীন মিসরের অনেক মমিতেও ট্যাটু রয়েছে, তেমনি বিশ্বজুড়ে অন্যান্য সংস্কৃতির দেহাবশেষেও রয়েছে।