খেলাধুলার জগতে অর্থ আর প্রতিপত্তির ক্ষেত্রে যে নামটা সবথেকে বেশি শোনা যায়, তা হলো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই। সম্প্রতি প্রকাশিত এক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বোর্ডের কোষাগার ফুলেফেঁপে উঠেছে। গত পাঁচ বছরে বিসিসিআইর ব্যাংক ব্যালেন্স বেড়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৬২৭ কোটি রুপি।
এই প্রতিবেদনটি ভারতের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোর কাছে দেয়া হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গত বছর পর্যন্ত বিসিসিআইর ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপি। এরপর থেকে এই অঙ্ক আরও বেড়েছে, যার চূড়ান্ত হিসেব আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রকাশ করা হবে।
এক সময় শোনা যেতো, বিসিসিআইকে নাকি কর দিতে হয় না। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য তারা আয়কর বাবদ ৩ হাজার ১৫০ কোটি রুপি ধার্য করেছে। যদিও বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে বোর্ডের আপিল এখনো চলমান, তবুও সম্ভাব্য আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আলাদা করে রাখা হয়েছে।
আর্থিক বছরের হিসেব বলছে, গত বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে বিসিসিআইর রাজস্ব কিছুটা কমেছে। কারণ, আন্তর্জাতিক হোম ম্যাচের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মিডিয়া স্বত্ব থেকে আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৫২৪.৮০ কোটি রুপি থেকে কমে ৮১৩.১৪ কোটি রুপিতে ঠেকেছে। তবে, একই সময়ে অনুষ্ঠিত আইসিসিবিশ্বকাপ ২০২৩ থেকে প্রাপ্ত আয় এই ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছে।
বোর্ডের ব্যাংক আমানত থেকে সুদের আয় গত বছরের ৫৩৩.০৫ কোটি রুপি থেকে বেড়ে ৯৮৬.৪৫ কোটি রুপি হয়েছে।
খরচের তুলনায় আয় বেড়েছে, যা গত বছরের ১ হাজার ১৬৭.৯৯ কোটি রুপি থেকে বেড়ে ১ হাজার ৬২৩.০৮ কোটি রুপিতে টাকায় পৌঁছেছে। এর প্রধান কারণ আইপিএল ২০২৩ থেকে প্রাপ্ত উদ্বৃত্ত ও আইসিসি থেকে পাওয়া লভ্যাংশ ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে বিতরণের জন্য ২০২৩-২৪ সালে ১ হাজার ৯৯০.১৮ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ সালে এই পরিমাণ ২ হাজার ০১৩.৯৭ কোটি রুপিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে।
সূত্র: ক্রিকবাজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল