বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ‘দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।
তিনি ঘোষণা দেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলে, বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শনিবার রাজধানীর পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল-ডেন্টাল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, দেশে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য। আমরা তাদের আহ্বান জানাই, ভুল পথে ধাবিত হবেন না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি, স্থানীয় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে। বর্তমানে আমরা রাজনৈতিক কর্মী, নাগরিক ও আপনাদের এলাকার সন্তান হিসেবে পাশে আছি। কিন্তু অনেক সমস্যা রয়েছে যেগুলো সমাধান করা সরকারের দায়িত্ব। জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলে, ইনশাল্লাহ, সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমিনুল হক জানান, প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে এই ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক, মাতৃসদন হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার গত ১৭ বছর মানুষের ওপর যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে, বিএনপি কোনো দিন তা করবে না। আমি নেতাকর্মীদের বলছি, আপনারা জনগণের সঙ্গে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মিশবেন, বিএনপি নেতা পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল