ব্যক্তিজীবন, শোবিজের বিভিন্ন বিষয় ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা-প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মতামত তুলে ধরেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এ নিয়ে তাকে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ তাকে নির্দিষ্ট সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলের সমর্থক, কর্মী ও অনুরাগী হিসেবেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।
শবনম ফারিয়া এবার তার রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
শনিবার ফেসবুক পোস্টে শবনম ফারিয়া লেখেন, ‘জীবনে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যেগুলোর জন্য নিজে কোনোভাবেই দায়ী নই। যেমন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা-ই লিখি, কিছুক্ষণ পর দেখি সেটা খবর হিসেবে ছাপা হচ্ছে! প্রথমে হাসাহাসি করতাম, পরে বিব্রত বোধ হতো, আর এখন যেহেতু নিয়মিত অভিনয় করি না তাই “Who cares?” মুডে ঢুকে গেছি। কিন্তু কিছু ঘটনা থাকে, যেগুলো শুধু বিব্রতকর না, বিরক্তিকরও বটে!
বিশেষ করে, জোর করে আমাকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা। আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার পেজ পাবলিক, সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে! তাতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না।
আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই। বরং, বলতে পারেন ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার ‘মঞ্চ’ না।
ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর, আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতিতে পড়ে।
অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয় এর পাশাপাশি চাকরি না করে, টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, আর ব্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে পশ্চাৎদেশের মিরর সেলফি দিতাম।
এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন। আমি এখন ব্যক্তিগতভাবে খুব কঠিন ও সংকটপূর্ণ একটা সময় পার করছি। আল্লাহর দোহাই লাগে, দয়া করে অন্য কাউকে অহেতুক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। না হলে এমন এক অবস্থায় পড়বেন, যেখানে হেলিকপ্টার, ট্যাংক বা এমনকি বুড়িগঙ্গার গুয়ের পানিতেও ডুব দিয়ে পালাতে পারবেন না!’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত